আমাদের অনেকের মনেই এই প্রশ্ন এসে থাকে যে, হাঁস মুরগির ডিম খাওয়া গেলেও সাপের ডিম কেনো খাওয়া যায়না, বা সাপের ডিম কেনো সুস্বাদু হয়না।
আসল ব্যাপার হচ্ছে যে, সাপের ডিম খাওয়া যায় এবং সাপের ডিম মুরগির বা হাঁসের ডিমের মতো সুস্বাদুও বলা যায়। ওয়াইল্ড লাইফ ইনফর্মার ওয়েবসাইটের মতে সাপের ডিম অনেকটা মুরগির ডিমের মতোই। সাপের ডিমেও উচ্চ মাত্রার প্রোটিন এবং পুষ্টিকর উপাদান আছে এবং ঠিক যেভাবে মুরগির ডিম রান্না করে খাওয়া হয়, সেভাবেই চাইলে সাপের ডিমও খাওয়া যায়।
এই সাপের ডিমের স্বাদ কিছুটা মাছের মতো হয়, আর যেহেতু অনেকেরই সাপের প্রতি এক ধরনের ভয় বা ঘেন্না কাজ করে,তাই বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এটার স্বাদ ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের কাছে ভালো না লাগলেও এশিয়া মহাদেশের ভিয়েতনাম, চায়না, জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সাপের ডিম সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে বিবেচিত এবং ওসব দেশে মুরগির ডিমের মতো সাপের ডিমও খাওয়া হয়।
এছাড়া পুষ্টিবিদদের মতে, সাপের ডিম খাওয়ায় ফলে মানব দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি বিষধর সাপের ডিম খেলেও মানুষ অসুস্থ হবেনা, বরং সাপের বিষ যেহেতু প্রধানত প্রোটিন দিয়ে তৈরি, তাই বিষধর সাপের ডিম খেলে সেই বাড়তি প্রোটিন আমাদের দেহে পুষ্টি পদার্থ হিসেবে শোষিত হবে।
তবে সাপের ডিমে সাধারণ মুরগির ডিমের তুলনায় দ্রূত ভ্রুন তৈরি হয়, তাই খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে এটা নতুন ডিম, নইলে ডিম খেতে গিয়ে ডিমের মধ্যে সাপের ভ্রুন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আশা করি প্রশ্নটির সঠিক উত্তর পেয়েছেন।