বালি হচ্ছে একটি দানাদার উপাদান যা সূক্ষ্মভাবে বিভক্ত শিলা এবং খনিজ কণার সমন্বয়ে গঠিত। বালির বিভিন্ন গঠন আছে তবে এর শস্য আকার দ্বারা একে সংজ্ঞায়িত করা হয়। বালির দানা নুড়ির চেয়ে ছোট তবে পলির চেয়ে মোটা। বালি ,মাটি বা মাটির মত একটি টেক্সচারাল শ্রেণিকেও উল্লেখ করতে পারে।
অর্থাত্ যেসব মাটির ভরের ৮৫% এর বেশি বালি-আকারের কণা তাদের কে বালি হিসেবে বুঝানো হয় ।
উইকিপিডিয়া থেকে ;
মূলত পানি এবং বাতাস এর মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে পাথর বা শিলা গুলি ক্ষয় হয় এবং ভেংগে যায় ও বাতাস বা পানি দ্বারা স্থানান্তরিত হয় এবং এদের তলানি ডাউনস্ট্রীমে প্রবাহিত হয়। এই তলানিগুলো বালির সূক্ষ্ম দানাতে পরিণত না হওয়া অবধি ছোট ছোট টুকরো হয়ে যেতে থাকে। এই তলানি কোন ধরণের পাথর থেকে উত্পন্ন হয়ে থাকে এবং সেই পরিবেশের অবস্থার উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন বালির বিভিন্ন রকমের গঠন তৈরি হয়ে থাকে। বালি গঠনের সর্বাধিক প্রচলিত শিলা/পাথর হল গ্রানাইট, যেখানে ফেল্ডস্পার খনিজগুলো কোয়ার্টজের চেয়ে দ্রুত দ্রবীভূত হয়, যার ফলে শিলাটি ছোট ছোট টুকরা হয়ে যায়। স্থির পরিবেশের চেয়ে উচ্চ শক্তির পরিবেশে শিলাগুলো আরও দ্রুত বিচ্ছিন্ন এবং ভেঙ্গে যায়।
যেমন,
গ্রানাইট রকস থেকে উদ্ভূত বালিতে বেশি ফেল্ডস্পার খনিজ থাকে ,কারণ এটি দ্রবীভূত হওয়ার সময় পায় না। ওয়েদারিং(জল ,বায়ু,বরফ দ্বারা পাথর ভেংগে যাওয়ার ঘটনা) এর মাধ্যমে যে বালি সৃস্টি হয় ,তাকে বলা হয় এপিক্লাস্টিক।