শীতের সময় সাধারণ বেশি পাওয়া যায়।শরীর যতটুকু সহ্য করতে পারবে স্বাভাবিক অবস্থায় ততটুকু ভিটামিন উৎপাদন করতে পারে।গ্রীষ্মের সকালে হয়ত খুব কম সময় ভিটামিন ডি উৎপাদনের যে আলো দরকার সেটা আসে।
গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান ভিটামিন ডি ঘাটতিতে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হাড়ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ-স্ট্রোক, প্রজনন সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও দৈহিক স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকতে পারে। শীতপ্রধান দেশগুলোর মানুষের শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকার ঝুঁকি বেশি থাকে। আর বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ভিটামিন ডির ঘাটতি মূলত অসচেতনতার কারণে।
দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যালোক থেকে। ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে, যেমন পোনা, মাগুর, স্যালমন মাছ, দুধ-ডিমে। মূলত ভিটামিন ডি পেতে হলে সূর্যালোকের ওপরই নির্ভরশীল হতে হবে।
কতক্ষণ রোদ পোহাতে হবে, তা নির্ভর করবে আপনি পৃথিবীর কোন জায়গায় অবস্থান করছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তেমন কোনো গবেষণা নেই। তবে অন্যান্য দেশের গবেষণার সঙ্গে তুলনা করে প্রতিদিন নিয়মিত প্রায় ৩০ মিনিট রোদ পোহানো প্রয়োজন হতে পারে বলে ধরে নেওয়া যায়। এ সময় শরীরের কমপক্ষে ১৮ শতাংশে রোদ লাগতে দিতে হবে। দুপুরের কাছাকাছি সময়, মানে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত রোদে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। আর বছরের গরম কালের সময়টুকু, অর্থাৎ এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাস রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়।
দুপুরের কাছাকাছি সময়ে সূর্য যখন সবচেয়ে ওপরের দিকে থাকে, তখন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ভিটামিন ডি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। অন্যদিকে সূর্য পূর্ব-পশ্চিম আকাশে হেলে থাকলে তাতে যে অতিবেগুনি রশ্মি থাকে, তা পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না। শীতকালের কম আর্দ্র ও কুয়াশাচ্ছন্ন দিনগুলোতে অথবা শীতপ্রধান দেশে অধিকাংশ সময় সূর্যালোকে যে অতিবেগুনি রশ্মি থাকে, তা ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ত্বকের রং সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি তৈরিকে প্রভাবিত করে। ত্বকের রং যত গাঢ় (যদি ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে), তা সূর্যালোক থেকে অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে তত বেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। অর্থাৎ গায়ের রং যত কালো, তাকে তত বেশি সময় রোদে থাকতে হবে।