আমাদের শরীর বিদ্যুৎ পরিবাহী, অর্থাৎ আমাদের শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সহজে প্রবাহিত হয়। বিদ্যুৎ হলো ইলেকট্রন-প্রবাহ। ইলেকট্রন সব পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজে প্রবাহিত হতে পারে না। যেমন শুকনা কাঠ। এর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন-প্রবাহ বেশি বাধা পায়। কিন্তু লোহা, তামাসহ অন্যান্য ধাতু, মাটি প্রভৃতি বিদ্যুৎ পরিবাহী। সেই সঙ্গে আমাদের শরীরও। কারণ, আমাদের শরীরের এক বড় অংশই খনিজ ও ধাতব বিদ্যুৎ পরিবাহী উপাদান রয়েছে। তবে এখানে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আমরা যদি হাতে রাবার বা শুকনা কাপড়ের তৈরি দস্তানা (গ্লাভস) ব্যবহার করে কোনো খোলা বৈদ্যুতিক তার ধরি, তাহলে আমাদের শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারবে না। হাতের দস্তানা বাধা দেবে। অথবা যদি কোনো কাঠের তক্তার ওপর দাঁড়িয়ে বা শুকনো রাবারের স্যান্ডেল পরে বিদ্যুতের খোলা তার স্পর্শ করি, তাহলে কিছু হবে না। তাই বলে তোমরা কিন্তু এটা পরীক্ষা করতে যেয়ো না। দস্তানা ভেজা থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কারণ, বিশুদ্ধ পানি বিদ্যুৎ অপরিবাহী হলেও আমরা যে খনিজ পানি ব্যবহার করি, তা বিদ্যুৎ পরিবাহী। তাই ভেজা জিনিসের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে। আবার সতর্কতা নেওয়ার পরও হঠাৎ দেয়ালে খোলা হাত রাখলে বিদ্যুতায়িত হবে। কারণ, ইট-সিমেন্টের দেয়াল বিদ্যুৎ পরিবাহী। শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে আমাদের পেশিতন্তু উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এটাই বিদ্যুৎ শক। এতে শরীর পুড়ে যেতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।