Srabon,,,; হা পারে।
সাধারণত পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে তাপমাত্রা যতই উপরের দিকে যাওয়া হয় ততই এর তাপমাত্রা কমতে থাকে।
সে জন্য বিজ্ঞানীরা বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করেছেন। তবে তাপমাত্রা কম থাকার কারণে অনেক সময় দেখা যায় নিচ থেকে উপরের দিকে উঠতে থাকে। বাতাসের নিম্নাঞ্চলে থাকা এ ধরনের মেঘকে বাজ মেঘ কিংবা থান্ডার ফ্লাইট বলে। তবে এই মেঘ যতই উপরে উঠতে থাকে ততই এতে পানির পরিমাণ বাড়তে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পানির পরিমাণ যখন প্রায় পাঁচ মিলিমিটার হয় তখন এটা বন্ধনমুক্ত হয়ে ধনাত্মক আয়ন ও ঋণাত্মক আয়নের বিভক্ত হয়ে যায়।
এদিকে পৃথিবীর ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট হওয়াই মেঘের ঋণাত্মক আয়নসমূহ নিচের দিকে অবস্থান নেয় এবং ভূমির দিকে আকৃষ্ট হতে থাকে। অধিকাংশ সময়ে ঋণাত্মক আয়নের মান বেশি হয়। এ কারণে ঋণাত্মক আয়নগুলো পৃথিবীর ধনাত্মক আয়নের আকর্ষণে যখন নিচে চলে আসে তখনই বজ্রপাত হয়।সে কারণে বড় বড় গাছের মাথায় বেশি বজ্রপাত হয়। এই উপমহাদেশে তালগাছের নতুন কচি পাতা প্রায়ই দেখা যায় মাঝখানের দিকে সূচালো হয়ে থাকে। যার ফলে এখানে তাল গাছে বেশি বজ্রপাত হয়।
তবে এখানে ভিন্নতাও আছে।যেমন,জাহাজ যদি পানির কিনারে থাকে তাহলে জাহাজে না পরে বজ্রপাত গাছে কিংবা জাহাজের থেকে উচু কোথাও পড়বে।
আর যদি জাহাজ নদী/সাগরের মাঝ খানে থাকে তাহলে জাহাজেই বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।আর জাহাজে বজ্রপাত হলে আগুল ধরে যাবে,ভিতরে থাকা সব পুড়ে যাবে,মানুষ মরেও যেতে পারে।এখানে অবশ্যয় ক্ষতি হতে হবে।
নৌকার বেলাও একই।
আর গাড়িতে খুব একটা বজ্রপাত পড়তে দেখা যায় না।দেখা গেলে গাড়ি পুড়ে যায় বজ্রপাত এর প্রভাবে।
কারণ বজ্রপাত ইলেকট্রিকাল সকড এর থেকে বেশী শক্তিশালী।
সুতরাং বলা যায়, নৌকায়,জাহাজে, সাবমেরিন ক্যাবল,আর গাড়িতে বজ্রপাত হলে অবশ্যয় ক্ষতি হবে।
ধন্যবাদ।