প্রযুক্তিগত দিক থেকে মোর্স কোড হচ্ছ টেক্সট/মেসেজ ইনফরমেশন প্রেরণ করার একটি পদ্ধতি, যেখানে অক্ষরগুলোকে আলো বা শব্দের লং বা শর্ট সিগনালের কম্বিনেশনে উপস্থাপন করা হয়েছে ।
মোর্স কোডের প্রতিটি অক্ষর কতগুলো ডট এবং ড্যাশের কম্বিনেশন। লিখিত কোড ছাড়াও এটি ডাটা কম্যুনিকেশনে পালস বা শব্দ দিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সেক্ষেত্রে একটি ড্যাশ দ্বারা গঠিত শব্দ তিনটি ডটের সমান। সুতরাং এখানে ডট হচ্ছে পরিমাপের একক।
মোর্স কোড সহজে মনে রাখার কিছু টিপস
১। প্রতিটি অক্ষরে ক্যারেক্টার গণনা
প্রতিটি অক্ষরে কতটি মোর্স কোড ক্যারেক্টার আছে তা মুখস্থ করে রাখা যেতে পারে। ফলে যখনই কোনো কোডেড মেসেজ ডিসাইফার করতে হবে, তার দীর্ঘতা সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যাবে।
T, E= ১টি করে মোর্স কোড কারেক্টার
A, I, M, N= ২টি করে মোর্স কোড কারেক্টার
D, G, K, O, R, S, U, W= ৩টি করে মোর্স কোড কারেক্টার
B, C, F, H, J, L, P, Q, V, X, Y, Z= ৪টি করে মোর্স কোড কারেক্টার
২। বিপরীত অক্ষর
মোর্সে কোডে কিছু কিছু অক্ষরের কোড একে অপরের প্রতিবিম্ব।
উদাহরণস্বরূপ “A” যা কিনা মোর্স কোডে “._” এবং “N” হচ্ছে “_.”
একে অপরের বিপরীত প্রতিবিম্ব অক্ষরগুলো হলো- A এবং N, D এবং U, G এবং W, B এবং V, F এবং L, Q এবং Y ।