গায়া হাইপোথেসিসে অনুমান করে যে পৃথিবীর জীবজগত তার পরিবেশের সাথে সহবিকাশ করে। তাই জীব জগত পরিবেশের অজৈব উপাদান গুলিকে প্রভাবিত করে ঠিক তেমনি পৃথিবীর পরিবেশ ডারউইনিয়ান প্রক্রিয়ার দ্বারা জীব জগত কে প্রভাবিত করে।
জেমস লাভলক নাসায় কাজ করার সময় দেখেন যে মঙ্গল গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব নেই, কিন্তু পৃথিবীতে অত্যাধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন থাকা সত্ত্বেও কিভাবে প্রানের বিকাশ সম্ভব হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করার উপায় হিসাবে জেমস লাভলক গায়া হাইপোথেসিস ধারনার উপস্থাপনা করেন।"Gaia" নাম টি দেন গ্রিকের পৃথিবীর দেবী "গাইয়ার" এর নাম অনুসারে। Gaia Hypothesis যেটি বর্তমানে Gaia তত্ত্ব বা Gaia নীতি নামে পরিচিত।
এই তত্ত্ব টি পৃথিবীর কিছু অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, যেমন – কেন বায়ুমণ্ডলের বেশির ভাগ অংশ কার্বন ডাই অক্সাইড, কেন মহাসাগরগুলি বেশি লবণাক্ত হয় না – তা ব্যাখ্যা করতেও সহায়তা করে ।পৃথিবী জীবনের জন্য একটি নিখুঁত গ্রহ তবে Gaia তত্ত্ব অনুসারে এটি কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। পৃথিবীতে জীবনের প্রথম আবির্ভাবের মুহুর্ত থেকেই এটি পৃথিবীকে আরও জীব বাসস্থানের অনুকূল হিসাবে গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। গায়া হাইপোথেসিসে পৃথিবী এবংপৃথিবীর প্রাকৃতিক চক্রকে একটি জীবিত প্রাণী হিসেবে ভাবা হয়। তাই যখন একটি প্রাকৃতিক চক্র কোনো কিছু ধ্বংস করে তখন অন্য চক্র এটিকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে, যা ক্রমাগতভাবে পৃথিবীতে জীবনের অনুকূল অবস্থার সৃষ্টি করে।