সৌরঝড় কী? এটি কেন হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
1,689 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (380 পয়েন্ট)
পূনঃট্যাগযুক্ত করেছেন

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (71,130 পয়েন্ট)

প্রায় ১০০ বছর পর ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পৃথিবী। 

সৌরঝড় কী?
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের নাম হলো ‘করোনাল ম্যাস ইজেকশন’। সৌরঝড়ের কারণে সূর্য থেকে তীব্র চৌম্বকীয় কণার নিঃসরণ হয়। আর এই কণাগুলো ঘণ্টায় কয়েক মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে ছুটে বেড়ানোর ক্ষমতা রাখে। যা ১৩ ঘণ্টা থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। তবে পৃথিবীর পরিমণ্ডল কণাগুলো থেকে রক্ষা করে আমাদের। এক্ষেত্রে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়াও তীব্র বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহিত হওয়ার ফলে মানুষের তৈরি অবকাঠামোগুলোর ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে।

ডেটা কমিউনিকেশনের ওপর এসিএম-এর বিশেষ সম্মেলনে ‘এসআইজিসিওএমএম-২০২১ (SIGCOMM 2021)’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৮০ থেকে ১০০ বছরে একবার সূর্যের প্রাকৃতিক জীবনচক্রের জন্য বাতাসগুলি সৌরঝড়ে বৃদ্ধি পায়। আর এটি পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করে রাখে।

সৌরঝড় কেন হয়?
গত ৩০ বছরে বিশ্বে দ্রুত সময়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে। এই সময়ে অনেক কম সক্রিয় ছিল সূর্য। তবে বর্তমান অবকাঠামো শক্তিশালী কোনো সৌরঝড়ে টিকতে পারবে কিনা তা নিয়ে এখনো বিস্তর কোনো গবেষণা হয়নি।

 

গবেষণার একজন লেখক যুক্তরাষ্ট্রের আরভাইনের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার কম্পিউটার বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক সংগীতা জ্যোতি জানিয়েছেন, কম ও বেশি সক্রিয়তার চক্রের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয় সূর্য। প্রতি ১১ বছরে আবর্তিত হয়ে থাকে এই চক্র। এছাড়া ১০০ বছরের আরেকটি চক্র রয়েছে সূর্যের।

বিশ্বে ইন্টারনেট অবকাঠামোর উন্নয়নের সময়ে সূর্য কম সক্রিয় ছিল। তবে ১০০ বছরের চক্রে শিগগিরই পৌঁছাবে।

এদিকে গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৮৫৯ ও ১৯২১ সালে আধুনিক এই পৃথিবীতে এমন সৌরঝড় হয়েছিল। তাই বলা যেতে পারে, ১০০ বছর পর ফের এমন ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পৃথিবী। এর আগে ১৯২১ সালে সৌরঝড়ে পৃথিবীর যে ক্ষতি হয়েছিল তা অকল্পনীয়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম ‘ক্যারিংটন এফেক্ট’। তখন ঝড়ের কবলে পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বিশালাকৃতির চৌম্বক ক্ষেত্রে বড় বড় ফাটল ধরেছিল। এসবের ফাঁকা জায়গা দিয়ে বিষাক্ত সৌরকণা আর মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করেছিল।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, পৃথিবীর উপর এমন ভয়ঙ্কর সৌরঝড় (সিএমই)-এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রতি দশকে ১ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ। এবারও তেমনই একটি সৌরঝড়ের কবলের শিকার হতে পারে পৃথিবী। এর সম্ভাবনাই বেশি। তবে এবার ১৮৫৯ ও ১৯২১ সালের মতো তীব্র না হলেও ১৯৮৯ সালের মার্চে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা সিএমইর ঝাপটায় কানাডার পুরো কুইবেক প্রদেশে টানা ৯ ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’ হয়ে যাওয়ার মতো হতে পারে।

সূত্র : ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডন্ট

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
সূর্যের ছটামণ্ডল বা করােনা অঞ্চলে ছােটো ছােটো বিস্ফোরণ হলে প্রচুর পরিমাণে আয়নিত কণা (ফোটোন কণা), গ্যাস, রশ্মি বাইরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে সৌরঝড় বলে। এই সৌরঝড়ের তীব্রতা প্রতি 11 বছর অন্তর বেশি হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহ, যােগাযােগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের নাম হলো করোনাল ম্যাস ইজেকশন সৌরঝড়ের কারণে সূর্য থেকে তীব্র চৌম্বকীয় কণার নিঃসরণ হয়। আর এই কণাগুলো ঘণ্টায় কয়েক মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে ছুটে বেড়ানোর ক্ষমতা রাখে। যা ১৩ ঘণ্টা থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। তবে পৃথিবীর পরিমণ্ডল কণাগুলো থেকে রক্ষা করে আমাদের। এক্ষেত্রে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সৌর ঝড় একটি ঘটনা যা সূর্যের ক্রিয়াকলাপের কারণে সংঘটিত হয়। নক্ষত্রটি আমাদের গ্রহ থেকে অনেক দূরে থাকলেও সূর্য এবং তার কার্যকলাপ পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সাথে হস্তক্ষেপ করে। এমন অনেক লোক আছেন যারা বিশ্বাস করেন যে সৌর ঝড়ের ফলে প্রকৃত ক্ষতি হতে পারে না, যদিও এটি কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে তারা পারে। ফলস্বরূপ এই ঘটনাগুলি ঘটে সৌর শিখা এবং করোনাল ভর ইজেকশন। এই বিস্ফোরণগুলি একটি সৌর বাতাস উৎপন্ন করে।
0 টি ভোট
করেছেন (5,600 পয়েন্ট)

সৌর ঝড় হল একটি মহাকাশ আবহাওয়া ঘটনা যা সূর্য থেকে বিকিরিত উচ্চ-শক্তির পদার্থ দ্বারা সৃষ্ট হয়। এগুলি সৌর চক্রের সময় ঘটে, যা প্রায় ১১ বছর স্থায়ী হয়। সৌর চক্রের সর্বোচ্চ সময়ে, সূর্য থেকে আরও বেশি সৌর ঝড় নির্গত হয়।

সৌর ঝড়ের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে:

  • ফ্লেয়ার: ফ্লেয়ার হল সূর্যের পৃষ্ঠে একটি তীব্র বিস্ফোরণ যা বিপুল পরিমাণে শক্তি এবং পদার্থ নির্গত করে।
  • প্রমিনেন্স: প্রমিনেন্স হল সূর্যের বায়ুমণ্ডলের একটি উজ্জ্বল, তন্তুযুক্ত গঠন যা সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে বিস্তৃত হয়।

ফ্লেয়ার এবং প্রমিনেন্স উভয়ই সৌর চৌম্বক ক্ষেত্রের অস্থিরতার কারণে ঘটে। সৌর চৌম্বক ক্ষেত্র হল সূর্যের চারপাশে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র। এটি সূর্যের পৃষ্ঠের নিচে সৌর কোর দ্বারা উৎপন্ন হয়।

ফ্লেয়ার এবং প্রমিনেন্স উভয়ই সৌর বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করে। এই প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্র পৃথিবীর দিকে ভ্রমণ করে এবং পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সাথে যোগাযোগ করে।

যখন সৌর ঝড় পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সাথে যোগাযোগ করে, তখন এটি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের ব্যাঘাত ঘটায়। এই ব্যাঘাতগুলি পৃথিবীর বিদ্যুৎ গ্রিড, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং মহাকাশযানের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সৌর ঝড়ের কিছু সাধারণ প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • বিদ্যুৎ গ্রিড বিভ্রাট: সৌর ঝড় বিদ্যুৎ গ্রিডের লাইনগুলিতে বিদ্যুৎ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং কারখানা বন্ধের কারণ হতে পারে।
  • যোগাযোগ বিভ্রাট: সৌর ঝড় যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সংকেত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটি ইন্টারনেট বিভ্রাট, টেলিফোন কল বিচ্ছিন্নকরণ এবং রেডিও এবং টেলিভিশন সম্প্রচারের সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • মহাকাশযানের ক্ষতি: সৌর ঝড় মহাকাশযানের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি এবং সৌর প্যানেলগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এটি মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সৌর ঝড়ের তীব্রতা এক্স-শ্রেণী থেকে এফ-শ্রেণী পর্যন্ত শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এক্স-শ্রেণীর সৌর ঝড় সবচেয়ে শক্তিশালী, এবং এফ-শ্রেণীর সৌর ঝড় সবচেয়ে দুর্বল।

সৌর ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া বেশ কঠিন। তবে, বিজ্ঞানীরা সূর্যের পৃষ্ঠের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সৌর ঝড়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য মডেল ব্যবহার করেন।

সৌর ঝড়ের প্রভাবগুলি কমাতে, সরকার এবং ব্যবসাগুলি নিয়মিত প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এগুলির মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ গ্রিড এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং মহাকাশযানকে সৌর ঝড়ের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য কৌশল তৈরি করা।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 189 বার দেখা হয়েছে
17 ফেব্রুয়ারি 2022 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Priom Chowdhury (2,630 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 887 বার দেখা হয়েছে
20 ফেব্রুয়ারি 2022 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rifat Shikder (820 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,621 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 239 বার দেখা হয়েছে
20 ফেব্রুয়ারি 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন R Atiqur (43,930 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,799 জন সদস্য

56 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 54 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  4. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  5. 188betbamuoi

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...