Nishat Tasnim বিভিন্ন রঙের সাথে মানুষের অনুভূতি বা আচরণের যোগস্থাপন করাকে রঙের মনোবিজ্ঞান বা colour psychology বলা হয়। গোলাপী এই রংটি মূলত নম্রতা, প্রশান্তি, নির্দোষিতা, সহমর্মিতা, সংবেদনশীলতার সাথে জড়িত।
গোলাপি রং মানব প্রজাতির টিকে থাকা ও প্রতিপালনের প্রতিনিধিত্ব করে। উদ্বেগ ও রাগ কমিয়ে শরীরে প্রশান্তির অনুভূতি ছড়িয়ে দেয় এই রং। এমনকি আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বায়োসোশ্যাল অ্যান্ড মেডিক্যাল রিসার্চের ড. অ্যালেকজান্ডার শাউস জানান যে,
“গোলাপি রঙের উপস্থিতিতে কোনো ব্যক্তি চাইলেও রাগান্বিত বা আগ্রাসী আচরণ করতে পারেন না। তার হৃদপেশীগুলো তখন দ্রুত স্পন্দিত হতে পারে না।”
ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং তাদের প্রভাবিত করা, জনসমক্ষে বক্তৃতা বা কোনো প্রস্তাবনা পেশ করা, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বেতন বাড়ানো বা পদোন্নতি বিষয়ক আলোচনা- এসব সময়ে পরার জন্যে গোলাপী রং বেছে নেওয়া যেতে পারে। এই রংটিকে নারীসুলভ ভেবে অনেক পুরুষই এড়িয়ে চলতে চান। এমতাবস্থায় কোনো পুরুষ যদি গোলাপী রং পরেন, এটি তার নিজের ব্যক্তিত্বের প্রতি দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতাকেই নির্দেশ করে।
ঘরে গোলাপীর নানা ধরনের শেড ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন আবহ সৃষ্টি করা যেতে পারে। উজ্জ্বল, গাঢ় গোলাপী যেখানে জমকালো ভাব ফুটিয়ে তোলে, সেখানে চাপা, হালকা গোলাপী আবার শীতল, শান্তিদায়ক অনুভূতি ছড়ায়। নিজের রুচি অনুসারে গোলাপীর সঙ্গে গাঢ় নীল, বাদামী, কালো, সবুজ, সোনালী বা রূপালী রঙের সমন্বয় করে ঘর সাজানো যেতে পারে। শোবার ঘর, সাজঘর বা বাড়ির প্রবেশমুখে গোলাপী রং ব্যবহার করা যেতে পারে।
অবশ্য অতিরিক্ত গোলাপীর ছড়াছড়ি শরীরের কর্মচাঞ্চল্য নিঃশেষ করে শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে।