স্বাভাবিক অবস্থায় দুর্ঘটনাবশত তেলাপোকা উল্টে গেলে অবশ্যই তেলাপোকা সোজা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সোজা হওয়াটা নির্ভর করছে তেলাপোকার পেশী শক্তির উপর। স্বাভাবিক অবস্থায় তেলাপোকা উল্টে গেলে পেশী শক্তি এবং এর লম্বা পা দ্বারা অবশ্যই সোজা হতে পারবে। আমরা যদি টেবিলের উপর আমাদের তালু উপরের দিকে রাখি, তাহলে দেখব যে স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের হাতের আঙ্গুলগুলো কিছুটা বাঁকা এবং ভাঁজ হয়ে থাকবে। আঙ্গুলগুলোকে সোজা করার জন্য আমাদের পেশীশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। দুর্ঘটনাক্রমে চিৎ হয়ে যাওয়া তেলাপোকার অবস্থাও অনেকটা সেরকম হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় তেলাপোকা উল্টে গেছে, ওঠার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। এক্ষেত্রে এর মূল কারণগুলো হলো শারীরিক সক্ষমতার স্বল্পতা, শরীরে পুষ্টির অভাব, পায়ের পেশীতে রক্ত সঞ্চালনের অভাব। বৃদ্ধাবস্থা অথবা অসুস্থ অবস্থায় এদের পক্ষে তাই পায়ের উপর শরীরের ভর রেখে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। সে সময় এদের পাগুলো দুর্বল হয়ে বাঁকা এবং ভাঁজ হয়ে আসে। এরকম অবস্থায় যদি কোনোভাবে এদের শরীর উল্টে যায়, তাহলে পাগুলোকে স্বাভাবিক ভাঁজ হয়ে থাকা অবস্থা থেকে সোজা করে তার উপর ভর দিয়ে সোজা হওয়া এদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
©️কোরা