সহজভাবে বললে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে গ্রাহকের বাসা পর্যন্ত আসতে বিদ্যুতের যেসব লস বা অপচয় হয় তাকে সিস্টেম লস বলা হয়।
এই অপচয় দুই ধরণের - একটা টেকনিক্যাল আরেকটি নন-টেকনিক্যাল।
বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য যে সকল পরিবাহী তার ব্যবহার করা হয় তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রোধ থাকে। ফলে এই রোধকে অতিক্রমের জন্য তড়িৎশক্তির একটি অংশ তাপে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ শক্তির ক্ষয় বা অপচয় (লস) হয়। এ ছাড়াও উৎপাদন কেন্দ্রের নিজস্ব ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির অপচয়সহ অন্যান্য কারিগরি অপচয়ের কারনেও বৈদ্যুতিক শক্তির অপচয় হয়। এই সকল অপচয়ই হলো কারিগরী বা টেকনিক্যাল সিস্টেম লস। এই সিস্টেম লস বৈদ্যুতিক সিস্টেমে থাকবেই, একে একেবারেই নির্মুল করা কখনোই সম্ভব হয় না।
নন-টেকনিক্যাল সিস্টেম লস এর অপর নাম হল "চুরি"। আমরা সবাই নিশ্চয়ই বাসার আশপাশে নিচের মত বৈদ্যুতিক খুঁটি দেখে অভ্যস্ত।
হাজার-হাজার তারের যে জট এখানে দেখতে পাচ্ছেন, এর সবগুলোই কি বৈধ? নাহ। এখানে প্রচুর অবৈধ সংযোগ রয়েছে। এসব অবৈধ সংযোগ করে যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তারা আদতে কোন বিল দিচ্ছেন না। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হলেও এর খরচটা সরকার পাচ্ছে না, ফলে একে অপচয় গণ্য করা হয়। এটাই নন-টেকনিক্যাল সিস্টেম লস।
আমাদের দেশে ইজিবাইক বা অটোরিকশাগুলোতে যে বৈদ্যুতিক চার্জ দেয়া হয়, তার অধিকাংশ সংযোগই কিন্তু অবৈধ। এই লসের কিংবা চুরির দায়ভার কিন্তু দেশকেই বহন করতে হচ্ছে।
©️ Quora