রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি। এটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। রাউটার হচ্ছে একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে ডাটা প্যাকেট তার গন্তব্যে কোন পথে যাবে তা নির্ধারণ করে। ডেটা প্যাকেট হচ্ছে ডেটার ব্লক বা ডেটার সমষ্টি। রাউটার ডেটা প্যাকেটগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম দূরত্বের পাথ(path) ব্যবহার করে। রাউটার ইন্টারনেটে “ট্রাফিক ডিরেক্টিং” এর কাজ সম্পন্ন করে। সাধারণভাবে, একাধিক নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃ নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে একটি ডাটা প্যাকেটকে এক রাউটার থেকে অন্য রাউটারে পাঠানো হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি গন্তব্য নোডে পৌঁছে।
লিঙ্কসিস এর রাউটার
একটি রাউটার বিভিন্ন নেটওয়ার্কের দুই বা তার অধিক ডাটা লাইনের সাথে যুক্ত থাকে। (রাউটারের কাজ নেটওয়ার্ক সুইচের বিপরীত, সুইচ বিভিন্ন ডাটা লাইনকে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত করে)। যখন একটি ডাটা প্যাকেট এই লাইনগুলোর একটিতে পৌঁছে, তখন রাউটার এর চূড়ান্ত গন্তব্য জানার জন্য প্যাকেটের তথ্য পড়ে। এরপর এর রাউটিং টেবিল বা রাউটিং পলিসিতে থাকা তথ্যের সাহায্যে প্যাকেটটিকে তার গন্তব্যের পরবর্তী নেটওয়ার্কে পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে আন্তঃ নেটওয়ার্কের একটি আস্তরণ তৈরি হয়।
সবচেয়ে পরিচিত রাউটারগুলো বাসা-বাড়ি এবং ছোট অফিসে ব্যবহৃত হয়। এগুলো শুধু ডাটা পাস করতে পারে, যেমন-ওয়েব পৃষ্ঠা, ই-মেইল, আইএম এবং হোম কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মধ্যকার ভিডিও। রাউটারের একটি উদাহরণ হতে পারে স্বত্বাধিকারী ক্যাবল বা ডিএসএল রাউটার যেটি একটি আইএসপি এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে। আরও জটিল রাউটার, যেমন এন্টারপ্রাইজ রাউটার, বড় ব্যবসা বা আইএসপি নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী কেন্দ্রীয় রাউটারের সাথে সংযুক্ত করে। এই কেন্দ্রীয় রাউটার ডাটাকে অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মধ্য দিয়ে দ্রুতগতিতে ইন্টারনেটে প্রেরণ করে। যদিও রাউটার সাধারণত একটি হার্ডওয়্যার ভিত্তিক ডিভাইস, তবুও সফটওয়্যার ভিত্তিক রাউটারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।