নিম্নলিখিত কারণে থার্মোমিটারে পারদ ব্যবহার করা হয়:
(১) পারদ একটি তাপ সুপরিবাহী পদার্থ। ফলে পারদ খুব সহজে তাপ গ্রহণ করিয়া উহার বিভিন্ন অংশে ছড়াইয়া দিতে পারে এবং পারদ থার্মোমিটার বস্তুর প্রকৃত তাপমাত্রা নির্দেশ করে।
(২) পারদ বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় ।
(৩) পারদ একটি অস্বচ্ছ ও উজ্জ্বল পদার্থ বলিয়া থার্মোমিটারের কাঁচের নলের ভিতর উহার উঠা-নামা বাহির হইতে সহজেই দেখা যায়।
(৪) পারদ কাচের নলের গায়ে লাগিয়া থাকে না। ফলে থার্মোমিটারের পারদ, তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে সাথে, খুব সহজেই নলের মধ্য দিয়া উঠা-নামা করিতে পারে।
(৫) পারদের তাপ ধারণ ক্ষমতা খুব কম। এইজন্য একটি পারদ থার্মোমিটার কোন বস্তুর সংস্পর্শে আসিলে উহা বস্তুর অতি সামান্য তাপ শােষণ করে এবং বস্তুর তাপমাত্রার উল্লেখযােগ্য কোন পরিবর্তন হয় না। কাজেই পারদ থার্মোমিটার বস্তুর সঠিক তাপমাত্রাই নির্দেশ করে।
(৬) পারদের ফুটনাঙ্ক 357 ডিগ্ৰি সেন্টিগ্ৰেড এবং হিমাংক -39 ডিগ্ৰি সেন্টিগ্ৰেড এই দীর্ঘ পরিসরে পারদ তরল অবস্থায় থাকে বলিয়া পারদ থার্মোমিটারে এই দুই তাপমাত্রার মধ্যবর্তী যে কোন তাপমাত্রা নির্ণয় করা যায়।
(৭) যে কোন তাপমাত্রা হইতে একই তাপমাত্রার বৃদ্ধিতে পারদের আয়তন বৃদ্ধি সমান ও যথেষ্ট হয়। ফলে থার্মোমিটারে দাগ কাটা সহজ ও সুষম হয়, ডিগ্রী আকারে বড় হয় এবং অল্প তাপমাত্রাও সূক্ষ্মভাবে নির্ণয় করা যায় ।
(৮) পারদ কম উদ্বায়ী ফলে থার্মোমিটারের পারদের উপরিভাগে যে সামান্য পারদ বাষ্প থাকে উহা পারদের উঠা-নামায় কোন বিঘ্ন ঘটায় না।