ছোট বেলায় পড়ে এসেছিলাম যে, টক স্বাদ যুক্ত যৌগ যা নীল লিটমাস কে লাল করে তাই অ্যাসিড। মূলত Acid শব্দটি এসেছে ল্যাটিন Acidus হতে যার অর্থ হল হলো টক। সকল অ্যাসিডই টক স্বাদ যুক্ত তবে এই মাত্রাটা একেক এসিডে একেক রকম।
আবার এরকম সংগাও প্রচলিত আছে, যেসকল যৌগে প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন রয়েছে, যারা ধাতুর সাথে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গমন করে এবং ক্ষারের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তারা অ্যাসিড।
এটি মূলত অ্যাসিডের ধর্ম ভিত্তিক সংগা। অ্যাসিডের সত্যিকার সংগা নিয়ে তিনটি মতবাদ প্রচলিত রয়েছে।
১। আরহেনিয়াসের মতবাদঃ
যেসকল যৌগ জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে H+H+ আয়ন প্রদান করে তারা অ্যাসিড।
এই মতবাদ অনুসারে H2SO4H2SO4 একটি এসিড। কারণ, এটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন দান করে। এই মতবাদের একটি দূর্বলতা হলো অ্যাসিডের সংগায় জলীয় দ্রবণের উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক।
H2SO4(aq)⟶2H++SO2−4H2SO4(aq)⟶2H++SO42−
২। ব্রনস্টেড - লাউরী মতবাদঃ
যেসকল যৌগ কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় প্রোটন দান করে অনুবন্ধী ক্ষারকে রূপান্তরিত হয় তারা এসিড।
এখানে জলীয় দ্রবণের উপস্থিতি আবশ্যক নয় এবং আরহেনিয়াসের মতানুসারে এখানে অ্যাসিডের বিয়োজিত হবারও প্রয়োজেন নেই। এই মতবাদে যে যৌগ প্রোটন দান করতে পারে তারাই অ্যাসিড। এটিকে অ্যাসিডের পূর্ণাঙ্গ সংগা বলা যেতে পারে।
৩। লুইসের মতবাদঃ
অ্যাসিড হচ্ছে সেসকল যৌগ যাদের কেন্দ্রীয় পরমাণুতে কমপক্ষে একটি ফাঁকা অরবিটাল আছে এবং যা অন্য একটি যৌগ হতে একজোড়া ইলেক্ট্রন গ্রহণ করতে সক্ষম।
যেমন, এই মতবাদ অনুসারে BF3BF3 একটি অ্যাসিড (লক্ষ্য করুন, যৌগটিতে কিন্তু হাইড্রোজেন পরমাণু নেই)। কারণ এটিতে বোরনের শেষ কক্ষপথে একটি ফাঁকা অরবিটাল রয়েছে এবং এটি অন্য কোন পরমাণু, আয়ন বা যৌগ হতে একজোড়া ইলেকট্রণ গ্রহণের মাধ্যমে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন তৈরী করতে পারে।
BF3+F−⟶BF−4BF3+F−⟶BF4−