কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার এবং উইনার রেসাস প্রজাতির একটি বানরের রক্ত খরগোসের শরীরে প্রবেশ করানোর পর খেয়াল করলেন, খরগোসের রক্ত একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করছে। এই পরীক্ষার ফলাফল স্বরূপ তাঁরা বলেন, রেসাস বানরের লোহিত রক্ত কণিকায় সাধারণ অ্যান্টিজেন ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টিজেন বিদ্যমান। এই অ্যান্টিজেনগুলো মানুষের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা যায় আর তাঁরা এই অ্যান্টিজেনের নাম দেন Rh ফ্যাক্টর।
Rh অ্যান্টিজেন যেসকল ব্লাডগ্রুপে পাওয়া যায় তাদেরকে বলা হয় Rh+(পজিটিভ) এবং বিপরীত পরিস্থিতির ব্লাডগ্রুপকে বলা হয় Rh-(নেগেটিভ)।
বিজ্ঞানী Fisher মতবাদ দেন যে Rh ফ্যাক্টরের ক্ষেত্রে C, D, E মেন্ডেলীয় প্রকট ফ্যাক্টর আর যাদের ক্ষেত্রে এই ফ্যাক্টরগুলো দেখা যায় তারা Rh+। অন্যদিকে c, d, e মেন্ডেলীয় প্রচ্ছন্ন এবং যাদের ক্ষেত্রে এই ফ্যাক্টরগুলো দেখা যায় তারা Rh-।