আমরা জানি যেকোনো কিছু করার জন্যই শক্তি প্রয়োজন। ঠিক তেমনই সকল জীবের প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন কাজ করতে হয়। তা যেকোনো বাহ্যিক কাজই হোক বা কোষের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়া। এদের সবার জন্য চাই শক্তি। আর ইঞ্জিনের মতো এই সকল শক্তির জ্বালানি হিসেবে কাজ করে আমরা খাদ্য হিসেবে যা গ্রহন করি। যেমন- কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, লিপিড ইত্যাদি। আর এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেটই হল শক্তির প্রধান উৎস।
আমরা ইঞ্জিন এ যে জ্বালানি দেই তা কি একবারেই সব শক্তি দিয়ে দেয়? না, আমরা একটু একটু করে শক্তি পাই। ঠিক তেমনি জীবদেহেও একই ঘটনা ঘটে। গ্লুকোজে যে স্থির শক্তি জমা থাকে তা একবারে সবটুকু মুক্ত হয় না। বরং একটু একটু করে মুক্ত হয়। আর এই শক্তির নিয়ন্ত্রিত মুক্তি নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন এনজাইম। এনজাইমগুলো বিভিন্ন ক্রিয়া বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তিকে ক্রমান্বয়ে স্থির শক্তি থেকে কাজ করার উপযোগী গতিশক্তিতে পরিণত করে। আর এই গতি শক্তি কাজে লাগিয়ে জীবদেহের সকল কাজ পরিচালিত হয়।
অর্থাৎ ইঞ্জিনের জ্বালানি যেমন জারিত হয়ে শক্তি সরবরাহ করে, তেমনি জীবদেহে কার্বোহাইড্রেটও বিভিন্ন নিয়মবদ্ধ জারণ বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি সরবরাহ করে। এই বিক্রিয়াগুলোকেই একসাথে শ্বসন বলে।