১. নটোকর্ড : ভ্রূণাবস্থায় অথবা আজীবন কর্ডেটের পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বরাবর পৌষ্টিকনালি ও স্নায়ুরজ্জুর মাঝখানে স্থিতিস্থাপক নিরেট নটোকর্ড থাকে । উন্নত প্রাণিদের পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় এটি মেরুদন্ড (vertebral column) দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। এসব তখন মেরুদণ্ডী প্রাণী (vertebrates) নামে অভিহিত করা হয়।
২. স্নায়ুরজ্জু নটোকর্ডের ঠিক উপরে লম্ব অক্ষ বরাবর ফাঁপা, নলাকার, স্নায়ুরজ্জু (nerve cord) থাকে। উন্নত প্রাণিদের ক্ষেত্রে স্নায়ুরজ্জুটি পরিবর্তিত হয়ে সম্মুখপ্রাস্তে মস্তিষ্ক (brain) ও পশ্চাতে সুষুম্নাকান্ড (spinal chord) গঠন করে।
৩. গলবিলীয় ফুলকা রন্ধ্র : জীবনের যে কোনো দশায় বা আজীবন কর্ডেটের গলবিলের দুপাশে কয়েক জোড়া ফুলকারন্ধ্র (gill slits) থাকে (উন্নত কর্ডেটে ফুলকা রন্ধ্র্বের বিলোপ ঘটে)।
৪. এন্ডোস্টাইল : গলবিলের নিচে এন্ডোস্টাইল (endostyle) নামক অঙ্গ থাকে, যা পূর্ণবয়স্ক মেরুদণ্ডী প্রাণীতে থাইরয়েড গ্রন্থিতে রূপান্তরিত হয়।
৫. পায়ু-পশ্চাৎ লেজ: ভ্রূণ দশায় পায়ুর পশ্চাতে নটোকর্ড বা মেরুদণ্ডে অবলম্বিত পেশল স্থিতিস্থাপক (post-anal tail) থাকে। অনেক ক্ষেত্রে এটিও পরবর্তীতে বিলীন হয়ে যায়।
৬. পরিপাকতন্ত্র সম্পূর্ণঃ এটি মুখছিদ্রে শুরু এবং পায়ুতে শেষ হয়। এতে পাকস্থলি ও অস্ত্র সুস্পষ্টভাবে পৃথক
৭. রক্ত সংবহনতন্ত্র: কর্ডেটদের রক্ত সংবহনতন্ত্র বদ্ধ ধরনের; অর্থাৎ রক্ত সর্বদা রক্ত বাহিকা ও হৃদযন্ত্রের ভিতর আবদ্ধ থেকেই প্রবাহিত হয়, কখনোই দেহগহ্বরে মুক্ত হয় না। রক্তের লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে। এদের সংবহনতন্ত্রে হেপাটিক পোর্টালতন্ত্র বিদ্যমান।
৮. হৃৎপিণ্ডের অবস্থান: কর্ডেটে হৃৎপিন্ড অঙ্কীয়দেশে অবস্থান করে।
৯. পার্শ্বপদ: মেরুদন্ডীদের দুজোড়া পার্শ্বপদ থাকে যা অন্তঃকঙ্কালে অবলম্বিত।
১০. খণ্ডকায়ন : কর্ডেটের খণ্ডকায়ন দেহপ্রাচীর, মস্তিষ্ক ও লেজে সীমাবদ্ধ থাকে. সিলোম পর্যন্ত পৌঁছায় না।
বিস্তারিত:
https://bit.ly/3kmpS8I