না, সেটা হবে না!
কারণ সাগর-নদী-খাল-বিল, পাহাড়ের চূড়ায় বরফের আকারে ও মেঘের মধ্যে যত পানি আছে তার পরিমাণ সব সময় একই থাকবে। কারণ যে পানি সমুদ্র, বায়ুমণ্ডল ও ভূপৃষ্ঠে সঞ্চালিত হয়, তাকে একটি সুনির্দিষ্ট পরিসীমায় আবদ্ধ হিসেবে দেখা চলে। মোট পানির কত অংশ বরফের আকারে, কতটা মেঘের মধ্যে আর কতটা সাগরে থাকবে, তার অনুপাত বদলাতে পারে। তার মানে মোট পানির পরিমাণ একই থাকে।
পৃথিবীতে পানি কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখনো গবেষণার বিষয়। ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামের সেন্টার ফর আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি স্টাডিজের ভূগোলবিদ অ্যান্ড্রু জনসনের মতে, সেই আদি যুগে পৃথিবী যখন ধীরে ধীরে ঠান্ডা হচ্ছিল, সে সময় হয়তো কিছু পানি সৃষ্টি হয়েছিল। অথবা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতেও পানির সৃষ্টি হতে পারে। অথবা এমনও হতে পারে যে পৃথিবীর একেবারে সূচনালগ্নে বাইরের কোনো ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে পানির সৃষ্টি হয়। যাইহোক, এরপর থেকে পৃথিবীতে মোট পানির পরিমাণ একই রয়ে গেছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে হয়তো পর্বতের চূড়ার কিছু বরফ গলে পানি হবে। মেরু অঞ্চলের বরফ তো ইতিমধ্যেই গলতে শুরু করেছে। আবার অতি গরমে সমুদ্রের পানি বেশি উত্তপ্ত হয়ে মেঘের আকারে আকাশে সঞ্চিত হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মোট পানির পরিমাণ একই থাকবে।
তথ্যসূত্র : প্রথম আলো