মহাকাশে ফুল ফোটানো সম্ভব? প্রাণের অস্তিত্বের কথা চিন্তা করলে তা অসম্ভব মনে হবে। কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রথমবারের মতো মহাকাশে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) ফোটানো হয়েছে একটি ফুল। পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো স্থানে এটাই প্রথম ফুল ফোটার ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসার গবেষক স্কট কেলি সুন্দর জিনিয়া ফুলটির ছবি মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে শেয়ার করেছেন।
স্কট কেলি স্পেশ স্টেশনে মালি হিসেবেও কাজ করেন। কেলির শেয়ার করা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চমৎকার গাঢ় কমলা ও হলুদ রঙের জিনিয়া ফুটে রয়েছে।
কেলি টুইটারে লিখেছেন, ‘মহাকাশে ফোটা প্রথম ফুল’।
এক মাস আগেও এ গাছটি ফুল ফোটার মতো অবস্থায় ছিল না। কারণ পৃথিবীর বাইরে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম থাকায় সেখানে উদ্ভিদ জন্মানো কঠিন। জিনিয়া ফুল ফোটার এ সাফল্য গবেষকদের মহাকাশে আরও বেশি চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করবে।
মহাকাশে এই জিনিয়া ফুলটি ফুটেছে
নাসার গবেষক জিওয়া মাসা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ফুল ফোটানোর মধ্য দিয়ে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। আমরা উদ্ভিদ সম্পর্কে এবং মাটি ও মহাকাশে এর জীবনীশক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছি।’
নাসার গবেষকেরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে উদ্ভিদ জন্মানোর জন্য ২০১৪ সালে ‘ভেজি’ নামের একটি অবকাঠামো তৈরি করেন। মহাকাশে লেটুস উৎপাদনের পর এবার জিনিয়া ফুল ফোটানোর ক্ষেত্রে সাফল্য পেলেন গবেষকেরা।
ভেজি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ট্রেন্ট স্মিথ বলেন, ‘লেটুসের চেয়ে জিনিয়ার প্রকৃতি ভিন্ন। পরিবেশ ও আলোকভেদে এটি স্পর্শকাতর। ফুল আসতে ৬০ থেকে ৮০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। এই উদ্ভিদ জন্মানো অধিক জটিল। গত নভেম্বরে এই গাছ সেখানে লাগানো হয়।
ভবিষ্যতে মহাকাশে টমটো উৎপাদনের পরিকল্পনা করছেন নাসার গবেষকেরা।
সোর্স ঃ প্রথম আলো