একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল আমাদের ত্বকের জন্য জরুরী যা আমাদের ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে, তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং আমাদের ত্বককে শুষ্ক করার হাত থেকে রক্ষা করে। তৈলাক্ত ত্বকের সুবিধা হল, তেল বলীরেখা ও মুখের রঙের কোন পরিবর্তন হওয়া থেকে রক্ষা করে। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের অসুবিধাও কম না। তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ধুলোবালি আটকে যায় এবং অতিরিক্ত তেল মুখের পোরগুলোকে বন্ধ করে দেয়। এতে করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে ব্রন হওয়ার প্রকোপ বাড়ে। তৈলাক্ত ত্বক যে কারো, যে কোন বয়সেই হতে পারে। এটি অবহেলা করবেন না। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের কারণ ও যত্নের আগে চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক তৈলাক্ত?
তৈলাক্ত ত্বকের কারণ
তেল গ্রন্থিগুলো মানে সিবেসিয়াস গ্রন্থি সক্রিয় হলে সেবাম উৎপন্ন হয়। সেবাম একটি তৈলাক্ত উপাদান, যা এই গ্রন্থিতে উৎপন্ন হয়। এর কাজ মূলত আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং করা এবং আমাদের ত্বককে বাইরের শুষ্ক আবহাওয়া থেকে বাঁচানো। কিন্তু অতিরিক্ত সেবাম ত্বককে তৈলাক্ত করে এবং ব্রণ বা ব্রণ জাতীয় সমস্যা তৈরী করে। এই অতিরিক্ত সেবাম তৈরীর কারণ হল :
১. বংশগতঃ তৈলাক্ত ত্বকের কারণ যদি জানতে চান তবে একটি কারণ বংশগত। যাদের পরিবারে কারো তৈলাক্ত ত্বক থাকে সাধারণত তাদেরও ত্বক তৈলাক্ত হয়। তবে সুসংবাদ এই যে, বয়সের সাথে এই তেল গ্রন্থিগুলোর তেল উৎপাদন কমে যায়।
২. হরমোন অথবা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেঃ বয়ঃসন্ধিকালে এন্ড্রোজেন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় যা সিবেসিয়াস গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে ফলে অতিরিক্ত সেবাম উৎপন্ন হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থা, মেনোপোজ এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির জন্য সেবাম তৈরী বেশি হয় যেগুলোকে তৈলাক্ত ত্বকের কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
৩. কসমেটিক: তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণেও ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে।
৪. সাবান এবং অতিরিক্ত মুখ ধোয়ার কারণেঃ বেশী ক্ষারযুক্ত সাবান ত্বকের স্বাভাবিক মেকানিজম-কে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং সিবেসিয়াস গ্রন্থিকে বেশি কার্যক্ষম করে, ফলে তেল উৎপন্ন হয়। যারা অতিরিক্ত বা বারবার মুখ ধোয় তাদের মুখের প্রয়োজনীয় তেল চলে যায় ফলে তেল গ্রন্থিগুলো ত্বককে বাঁচাতে আরো বেশী তেল তৈরি করে।