উত্তর দেওয়ার আগে কিছু পূর্বপরিচিত ভ্রান্ত ধারণা খণ্ডন করি। অনেকে মনে করেন হীরা খুব অপ্রতুল দেখে এর মূল্য অধিক। ১৯ শতকের আগে এটি সত্য ছিল বটে, কিন্তু পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকান দেশগুলোতে হীরার বেশ কিছু বিশাল খনি আবিষ্কৃত হওয়ার পর এ পাথর সুলভ হতে শুরু করে। আজকাল শোনা যায়, হীরার সরবরাহ কমছে বলে এর দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা-ও সত্য নয়। যদিও হলুদ ও গোলাপি হীরা বিপন্ন বলা চলে, সাদা হীরা এখনো রয়েছে যথেষ্ট।
আসলে এ পাথরের মূল্যবান হওয়ার পেছনের কারণ এর চাহিদা। পূর্বোল্লখিত হীরার খনিগুলো আবিষ্কারের পরে সকলেই এক প্রকার ধরেই নিয়েছিল যে বিশ্ব বাজারে হীরার বন্যা হলো বলে! তাতে এর দামও কমে যাবে। ডি বিয়ার্স নামক এক ভদ্রলোক হয়তো এ ভবিষ্যদ্বাণী পছন্দ করেননি। তিনি তৎক্ষণাৎ খনিগুলো কিনে হীরকের বৈশ্বিক বাজারজাতে কড়াকড়ি আরোপ করেন। একইসাথে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে এর জনপ্রিয়তা বাড়াতে সচেষ্ট হন। ফলে সকলে মনে করেন এ পাথর অত্যন্ত দুর্লভ, যা হীরার মূল্যস্ফীতি ঘটায়। এ কারণেই একে মূল্যবান পাথর বলা হয়।