বজ্রপাত কিভাবে সংগঠিত হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
592 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (71,130 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (71,130 পয়েন্ট)

Sanjan Toufiqa- 

প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির সময় কম বেশি বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। বিদ্যুৎ চমকানো ও প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়ার ব্যাপারটি খুব জটিল। সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, আকাশ থেকে বাজ (বিদ্যুৎপ্রবাহ) নিচে পড়ে। এটা পুরো ঘটনার একটি দিক মাত্র।বাজ পড়ার ঘটনাটি আসলে দ্বিমুখী নীতি অনুসরণ করে।

বজ্রপাত মূলত একটি বৈদ্যুতিক ঝলকানি। এটি এতোটাই উত্তপ্ত যে— একটি ফ্ল্যাশ চারদিকে বাতাসকে সূর্যের পৃষ্ঠের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি তাপমাত্রায় তাপিত করতে পারে। এই উত্তাপের ফলে পার্শ্ববর্তী বাতাসকে দ্রুত প্রসারিত এবং কম্পনের সৃষ্টি করে। যার কারণে আমরা প্রচন্ড গর্জন শুনতে পায় এবং আমরা একটি বাজ ফ্ল্যাশ দেখার পরে অল্প সময়ের মধ্যে শুনতে পাই।

এবার চলুন বজ্রপাত কীভাবে সংগঠিত হয় বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই।

মেঘের নিচের দিকে প্রচুর ঋণাত্মক বিদ্যুৎ চার্জ ও তার বিপরীতে মাটিতে ধনাত্মক বিদ্যুৎ চার্জ জমা হওয়ার কারণে অথবা মেঘের ভেতরের পানি ও বরফকণার ঘর্ষণ এবং অন্যান্য কারণে মেঘের নিচের দিকে ঋণাত্মক ও ওপরের দিকে ধনাত্মক বিদ্যুৎ চার্জের সমাবেশ ঘটে। দুই বিপরীতধর্মী চার্জের পারস্পরিক আকর্ষণে মেঘের উভয় দিকের মধ্যে একটি বিদ্যুৎক্ষেত্র তৈরি হয়। সৃষ্ট বিদ্যুৎক্ষেত্র বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠলে মেঘের মধ্যে বিদ্যুৎপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। এটা একই মেঘের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু অন্যদিকে মেঘের নিচের দিকের ঋণাত্মক বিদ্যুৎ চার্জের আকর্ষণে মাটিতে ধনাত্মক চার্জের সমাবেশ ঘটে এবং এ দুয়ের মধ্যেও একটি বিদ্যুৎক্ষেত্র তৈরি হয়।

বাতাস বিদ্যুৎ অপরিবাহী হওয়ায় মেঘের বিদ্যুৎ মাটিতে আসতে পারে না। তবে মেঘে অনেক বেশি চার্জ জমা হলে একপর্যায়ে মাঝখানের বাতাসের বাধা অতিক্রম করে ঋণাত্মক বিদ্যুৎ চার্জ মাটিতে সঞ্চিত ধনাত্মক বিদ্যুতের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য একটি প্রবাহ লাইন সৃষ্টি করে। প্রথমে মেঘের কিছু বিদ্যুৎ চার্জ নিচে নামতে শুরু করে। ধাপে ধাপে এই বিদ্যুৎ নিচে নামতে থাকে।এই বিদ্যুৎকে তখন ‘স্টেপড লিডার’ বলা হয় । প্রতিটি ধাপ প্রায় ৫০ গজ দীর্ঘ এবং এগুলো এক সেকেন্ডের দশ লাখ ভাগের এক ভাগ সময় স্থায়ী হয়।

স্টেপড লিডারে কয়েক টন ঋণাত্মক বিদ্যুৎ থাকে। এরা ধাপে ধাপে নামতে থাকলে এর প্রভাবে মাটি থেকে ধনাত্মক বিদ্যুৎ উঁচু গাছ, ঘরবাড়ি বা টাওয়ার বেয়ে ওপরের দিকে উঠে ওদের সঙ্গে মিলিত হয়। এই পাল্টা বিদ্যুৎপ্রবাহের গতি ঘণ্টায় প্রায় ৬০ হাজার মাইল।এভাবেই ঊর্ধ্বমুখী ধনাত্মক চার্জের প্রবাহ ও নিম্নমুখী ঋণাত্মক চার্জের সমন্বয়ে শক্তিশালী বিদ্যুৎপ্রবাহের লাইন সৃষ্টি হয় এবং বজ্রপাত সংঘটিত হয়।

সুতরাং,বজ্রপাতের সময় প্রথমে ওপর থেকে নিচে ও পরক্ষণেই নিচ থেকে ওপর দিকে বিদ্যুৎপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, এই জটিল প্রক্রিয়া থেকে বলা চলে, বাজ পড়ার ঘটনা দ্বিমুখী।

0 টি ভোট
করেছেন (5,210 পয়েন্ট)
বজ্রপাত আসলে আয়নিত জলকণার ফলে ঘটে। তবে জলকণার আয়নিত হওয়ার কারণ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নানান মত দিয়েছেন। ভূ-পৃষ্ঠের পানি যখন বাষ্প হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে তখন মেঘের নিচের দিকে ভারী অংশের সাথে জলীয়বাষ্পের সংঘর্ষ হয়।

ধন্যবাদ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+14 টি ভোট
3 টি উত্তর 520 বার দেখা হয়েছে
20 মার্চ 2020 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Mobin Sikder (15,760 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 421 বার দেখা হয়েছে
17 নভেম্বর 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fake Id (14,120 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 243 বার দেখা হয়েছে
01 জুলাই 2022 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md. Irfan Hakim (250 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 655 বার দেখা হয়েছে
11 মার্চ 2021 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 257 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,623 জন সদস্য

127 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 125 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. GuadalupeHov

    100 পয়েন্ট

  5. JosefinaFett

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...