যদি এক কথায় বলি,তবে এটা মুলত ইলেকট্রন এর স্থানান্তর। তবে বিস্তারিত বলে দিচ্ছি।
বজ্রপাতের সূচনা হয় মুলত সাদা মেঘ থেকে।
প্রথমত আলোর ধাক্কায় মেঘের ইলেকট্রন গুলো নিচের স্তরের মেঘের পানির অনুতে জমা হয়। তখন নিচে - ও উপরে + চার্জ যুক্ত মেঘের সৃষ্টি হয়। নিচের মেঘের স্তরের সমধর্মী - চার্জ গুলো একে অপরকে বিকর্ষণ করে মেঘের পৃষ্ঠে অবস্থা করে। আর আমরা জানি ও, চার্জিত বস্তুর চার্জ তার পৃষ্ঠে অবস্থান করে।
এমতাবস্থায় সাদা মেঘ গুলো সংকুচিত হয়ে যায়। তখন আর আলোর প্রতিসরণ হয় না। তখন সেটা কালো মেঘ এ পরিনত হয়। পরষ্পরক বিকর্ষণ কে উপেক্ষা করে সংকুচিত হওয়ার ফলে এর মাঝে বিপুল পরিমান স্থিতি শক্তি জমা হয়।
তখন মেঘ এ জমা হওয়া ইলেকট্রন গুলো যাওয়ার রাস্তা খুঁজতে থাকে(সহজ ভাষায় বললাম)। এই অবস্থায় মেঘের কাছা কাছি যে সমস্থ গাছ না উচু দালান থাকে সেগুলোতে আবেশ প্রকৃয়ায় + চার্জ জমা হয়। মেঘ আরো কাছে আসলে তাতে থাকা ইলেকট্রন গুলো সেই + চার্জ এ জাম্প করে মাটিতে চলে যায়।
এই আকর্ষণ এর ফলে যে জাম্প দেয় তাতে প্রচুর পরিমান গতিশক্তি উৎপন্ন হয় এবং তীব্র বেগে বাতাসের অনুর সাথে ধাক্কা খায়। প্রচুর পরিমান শব্দ ও তৈরী হয়। তখন আকা বাঁকা পথে ইলেকট্রন গুলো পাতায় বা দালানে চলে আসে। প্রচুর তাপ ও আলোর বিকিরণ হয়।
মুলত ইলেকট্রন যাওয়ার এই পথ পুরোটুকু আলোকিত হয়,যা আমরা দেখতে পাই।
আর এই ইলেকট্রন যেদিক দিয়ে যায়,সেই স্থানের কোষ ধ্বংস করে দেয়,এর ফলেই মুলত মানুষ মারা যায়।