মেসোডার্ম এবং পেরিটোনিয়াম নামে মেসোডার্মাল কোষস্তর এ আবৃত দেহগহ্বরকে সিলোম বলে।
সিলোম প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে প্রাণীদের কয়েকটি উপায়ে ভাগ করা যায়।
যথা-
১. অ্যাসিলোমেট: এদের কোষে সিলোম থাকে না।এদের দেহে সিলোমের পরিবর্তে ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় অন্তঃস্থ ফাঁকা স্থানটি মেসোডার্মাল স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা কোষে পূর্ণ থাকে। Porifera, Cnidaria, Ctenophora, Platyhelminthes পর্বের প্রানীরা অ্যাসিলোমেট।
যেমন: Aurelia (জেলিফিস), চ্যাপ্টাকৃমি, ফিতা কৃমি।
২. অপ্রকৃত সিলোমেট: যে সকল প্রাণীদের দেহগহ্বর থাকে না এবং তা পেরিটোনিয়ামে অর্থ্যাৎ মেসোডার্মাল আস্তরণে আবৃত নয় সেসব প্রাণীরা হচ্ছে অপ্রকৃত সিলোমেট। Nematoda, Rotifera, Kinorhyncha পর্বের প্রাণীরা অপ্রকৃত সিলোমেট।
যেমন: কেঁচোকৃমি, চোখ কৃমি।
৩. প্রকৃত সিলোমেট: অপেক্ষাকৃত উন্নত শ্রেণীর প্রাণীর মেসোডার্মের অভ্যন্তর থেকে গহ্বররূপে সিলোম উদ্ভূত হয়। মেসোডার্মের অভ্যন্তর গহ্বরটি চাপা,মেসোডার্মাল এবং এপিথেলিয়াল কোষে গঠিত পেরিটোনিয়াম স্তরে আবৃত। এধরণের প্রাণীরা হচ্ছে প্রকৃত সিলোমেট। Mollusca, Annelida, Arthopoda, Echinodermata, Chordata পর্বের প্রাণীরা প্রকৃত সিলোমেট। যেমন: Tenusalosa ilisha (ইলিশ), Culex pipens (মশা)।