ভাইরাস শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ, যেটার অর্থ বিষ। এটা না জীব, না জড়। বলতে গেলে একটা মাঝামাঝি পর্যায়ে বাস করে। মাইক্রোবায়োলজির ভাষায় এদের বলে obligate intracellular parasites।
‘obligate’ বলতে সোজা বাংলায় বোঝায় বাধ্যগত। ‘intracellular’ দিয়ে বোঝায় অন্তঃকোষ/ কোষের ভেতরকার। আর parasite মানে তো পরজীবীই। এদের এই নাম দেওয়ার অর্থ হলো, এদের বংশ বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই কোষের ভিতরে থাকা প্রয়োজন। কোষের পরিবেশ না পেলে এদের জড় পদার্থ বলা খুব একটা ভুল হবে না। ভাইরাসকে কেলাসিত বা ক্রিস্টাল বানানো যায়। এই কেলাস ভেঙে ফেললে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে ভাইরাস আবার বংশবৃদ্ধি করতে পারে। একটা জীবের শক্তির মূল উৎস তার খাবার থেকে আসে। ভাইরাসের খাবারেরও দরকার হয় না।
এই পর্যন্ত আসলে ভাইরাসকে চোখ বন্ধ করে জড় পদার্থ বলে দেওয়া যেত। কিন্তু ভাইরাস বংশবৃদ্ধি বা সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে, যেটা জীবের একটা বৈশিষ্ট্য। এই কারণে ভাইরাসকে একেবারে জড় পদার্থের কাতারেও ফেলা যায় না।
বেচারা!