ভরা বর্ষার মেঘ কালো। শরতের মেঘ প্রায় সাদা। আবার মাঝেমধ্যে দেখা যায় সাদা মেঘের রঙও হালকা থেকে ঘন হয়। মেঘের এই রং বদলানোর রহস্য কী?
মেঘের রং নির্ভর করে তার ভেতরের পানির বিন্দুগুলো কত বড় তার ওপর। নদীনালা, খালবিল, সমুদ্রের পানি সূর্যের তাপে বাষ্প হয়ে ওপরে উঠে যায়। ঊর্ধ্বাকাশে ঠান্ডায় বাষ্প জমে খুব ছোট ছোট পানির বিন্দুতে পরিণত হয়। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এই পানির বিন্দু মিলে মেঘের জন্ম।
মেঘের পানির বিন্দুগুলো এত ছোট ও হালকা যে বাতাসের অণুর ক্রমাগত ধাক্কায় এগুলো আকাশে ভেসে থাকে। আকাশে ভেসে থাকার সময়ও মেঘের পানির বিন্দুগুলো সব সময় বাষ্পীভূত হয়ে কিছুটা ওপরে উঠে যায় এবং আবার ঘন হয়ে মেঘে রূপান্তরিত হয়। এ জন্যই লক্ষ করলে দেখা যাবে, আকাশে মেঘের আকার ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়। সাদা মেঘের পানির বিন্দুগুলো স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো। অর্থাৎ এগুলো চারদিকে সূর্যের আলোর প্রতিসরণ, প্রতিফলন ও বিচ্ছুরণ ঘটায়, যেমন ঘটায় বরফ বা তুষার।
যেহেতু মেঘ সূর্যের আলোর সবগুলো রংই সমভাবে ছড়িয়ে দেয়, তাই মেঘে প্রতিফলিত আলো সূর্যের আলোর মতোই সাদা দেখায়। সে জন্যই হালকা মেঘ সাদা রঙের হয়। কিন্তু যখন মেঘের ভেতরের পানির বিন্দুগুলো ভারী হয়ে বৃষ্টির ধারায় নেমে আসার উপক্রম হয় তখন মেঘ কালো রং ধারণ করে। কারণ, পানির বিন্দুগুলো এত পুরু হয়ে ওঠে যে এর মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো আসতে পারে না। তখন চারপাশের উজ্জ্বল আকাশের বিপরীতে সেই মেঘ ঘন কালো দেখায়। কালো মেঘে বৃষ্টি হয়।
তথ্যসূত্র : প্রথম আলো