Nishat Tasnim- বৃষ্টির পানি পানের উপকারিতাঃ-
অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা রিপোর্টে দাবি, বৃষ্টির পানি পান করা সবচেয়ে নিরাপদ। মাটি বা পাথরে থাকা মিনারেলস আর বর্জ্য, বৃষ্টির পানিতে থাকে না। সেকারণেই বৃষ্টির পানি পানে অগাধ উপকারিতা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। এগুলো হলো:-
১. হজম শক্তি বাড়ায়ঃ বৃষ্টির পানিতে থাকে অ্যালকালাইন pH যা অ্যাসিডিটি কমায়, হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. রাসায়নিক মুক্ত পানিঃ ট্যাপের পানি জীবাণুমুক্ত করতে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়। আর ফ্লোরাইড আসে মাটির নিচ থেকে। বেশি মাত্রায় ক্লোরিন বা ফ্লোরাইড পেটে গেলে গ্যাসট্রাইটিস, মাথা ব্যথার মতো সমস্যা বাড়ে। বৃষ্টির পানিতে ফ্লোরাইড বা ক্লোরিন, কোনওটিই থাকে না।
৩. দূর করে দেহের টক্সিন উপাদানঃ-
বৃষ্টির পানি পান করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এটি রক্তের পিএইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে স্বাভাবিকের ঘরে। ফলে শরীরে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমে যায় এবং রোগের প্রকোপ কমে আসে।
৪. পেটজনিত সমস্যার সমাধান ঘটায়ঃ-
গ্যাস্ট্রিক কিংবা পেট ফাঁপা সমস্যায় ভোগেন অনেকেই, নানা ধরণের ওষুধও খান রোগ থেকে মুক্তি পেতে। এখন থেকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিন চামচ বৃষ্টির পানি পান করুন। অ্যাসিডিটি ও গ্যাসজনিত সমস্যা দূর হবে নিমিষেই। সেই সঙ্গে ঘটবে হজম শক্তির উন্নতি।
.বৃষ্টির পানি পানের অপকারিতাঃ-
১. মেঘ যখন বৃষ্টির পানি হয়ে ঝরে তখন আবহাওয়া ও বায়ুমন্ডলের সংস্পর্শে তাকে আসতে হয়। আর আমাদের এই বায়ুমন্ডলে অনেক ধুলোবালি এবং অনেক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যেগুলো বৃষ্টির ফোঁটার সাথে সহজেই মিশে যায়। তাই সরাসরি বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা মোটেও নিরাপদ নয়।
২. বৃষ্টির পানিতে এসিড মিশ্রিত থাকে। এছাড়াও বাতাসের ধুলোবালি, অনেক ভারী ধাতব পদার্থ, গাছের লতাপাতার ময়লা, পাখির মলমূত্র ইত্যাদি মিশে থাকে। এসিড মিশ্রিত পানি ব্যবহারের জন্য ক্ষতিকর। এসিড মিশ্রিত না থাকলেও অন্য ময়লা, নোংরা এইসবে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর।
৩. মানুষ সাধারণত যে পানি ব্যবহার করে তাতে শরীর গঠনের বিভিন্ন উপকারী উপাদান থাকে। যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফ্লোরাইড.. ইত্যাদি। এখন কেউ যদি নিয়মিত বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে থাকে তাহলে তার শরীরে এইসব উপাদানের ঘাটতি দেখা দেবে যা শরীরের জন্য অবশ্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
৪. যে পৃষ্ঠ (সারফেস) থেকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করছেন, ধরুন ঘরের চাল, ছাদ/ পানির ট্যাংক.. এগুলোর উপরিভাগে (সারফেস) বিভিন্ন ধরণের ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া সহ অনেক ধরণের অণুজীবী থাকে যা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে যায়। ফলে এই পানি কখনই নিরাপদ নয়।