এডিসন রোগ কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
453 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

এডিসন রোগ এন্ডোক্রাইনের বা হরমোন উৎপাদন করার পদ্ধতির একটি বিরল ব্যাধি। একে সাধারণত অ্যাড্রিনালের অভাব বলা হয়, মানে যেখানে অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড থেকে করটিসল আর অ্যাল্ডোস্টেরোন হরমোনের উৎপাদন সঠিক পরিমানে হয় না। এডিসন রোগ সব বয়সের মানুষেরই মধ্যেই দেখা যায় আর দুই লিঙ্গকেই সমানভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

 

এই রোগের মূল লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কি কি?

এডিসন রোগের উপসর্গগুলো সাধারনত খুবই ধীরে ধীরে দেখা দেয় এবং তার মধ্যে কিছু লক্ষণ হল:

  • অত্যন্ত ক্লান্তি।
  • ওজন কমে যাওয়া।খিদে না পাওয়া।
  • নুন খাওয়ার ইচ্ছে।
  • নিম্ন রক্ত চাপ।
  • লো ব্লাড সুগার।
  • বমি করা।
  • হাইপারপিগমেন্টেশন।
  • বিষন্নতা।
  • পেটে ব্যথা।
  • পেশি বা হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা।
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কিছু ক্ষেত্রে।
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে সেক্সুয়াল ডিসফাংশন বা যৌন অসুস্থতা।

 

এই রোগের মূল কারণ কি?

এডিসন রোগ শরীরে বিশেষত করটিসোল এবং অ্যাল্ডোস্টেরোন হরমোনের উৎপাদনের অভাবে হয়ে থাকে। যখন অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের (যে গ্ল্যান্ডটি কিডনি ওপরের অংশে অবস্থিত) কোর্টেক্স ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন সাধারনত এই রোগটি হয়ে থাকে এবং সেজন্য একে প্রাথমিক অ্যাড্রিনালের অভাবও বলা হয়।

অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের ব্যর্থতার কিছু মূল কারণ হল:

  • অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের ভিতরে রক্তপাত।
  • অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডে ক্যান্সার ছড়িয়ে পরা।
  • টিউবারকুলসিস বা যক্ষারোগ।
  • ফাঙ্গি, ভাইরাস, প্যারাসাইট আর ব্যাক্টেরিয়ার মতো বাহকের জন্য  অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডে সংক্রমণ হওয়া।

 

কিভাবে এই রোগ নির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসা করা হয়?

সাধারণত এডিসন রোগ প্রথম ধাপেই ধরা খুবই কঠিন। কিন্তু, আপনার লক্ষণ ও মেডিকাল হিস্ট্রির ওপর নির্ভর করে ডাক্তার আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবে।

এইটা করার পর, উনি আপনাকে বিভিন্ন হরমোনের মাত্রা কতটা আছে তা দেখার জন্য কিছু বায়োকেমিকাল ল্যাবরেটরি টেস্ট করতে বলবেন। আপনাকে হয়তো অ্যাবডোমেন বা পেট এবং পেলভিক স্থানের এক্স-রে করতে বলা হতে পারে যাতে ক্যালসিয়ামের ডিপোসিসন বা ঘাটতির পরীক্ষা করা যায়। আপনাকে হয়তো অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রফিক হরমোন (ACTH) স্টিমিউলেশন টেস্ট করানোর জন্য বলতে পারেন যাতে কর্টিসলের উৎপাদন দেখা যায়, অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের কার্যকারিতা ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য একবার এসিটিএইচ ইনজেকশন দেওয়া হতে পারে।

এডিসন রোগের চিকিৎসা এই কিছু পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে:

ওরাল হরমোনাল থেরাপি, যেখানে ওরাল ড্রাগ অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের উৎপাদন করা হরমোনের পরিবর্তে কাজ করবে। আপনাকে হয়তো  ওরাল হাইড্রোকর্টিসোন ট্যাবলেটস বা মিনেরালোকর্টিকয়েডস প্রেসক্রাইব করা হতে পারে।

আপনাকে হয়তো হাইড্রোকর্টিসোনের ইনট্রাভেনাস (যেটি শিরাতে দেওয়া হয়) ইনজেকশন নেওয়ার জন্য বলা হতে পারে, যা রোগীকে খুব দ্রুত সারিয়ে তোলে।

ক্রেডিট: myUpchar

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)

এডিসন রোগ এন্ডোক্রাইনের বা হরমোন উৎপাদন করার পদ্ধতির একটি বিরল ব্যাধি। একে সাধারণত অ্যাড্রিনালের অভাব বলা হয়, মানে যেখানে অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড থেকে করটিসল আর অ্যাল্ডোস্টেরোন হরমোনের উৎপাদন সঠিক পরিমানে হয় না। এডিসন রোগ সব বয়সের মানুষেরই মধ্যেই দেখা যায় আর দুই লিঙ্গকেই সমানভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

এই রোগের মূল লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কি কি?

এডিসন রোগের উপসর্গগুলো সাধারনত খুবই ধীরে ধীরে দেখা দেয় এবং তার মধ্যে কিছু লক্ষণ হল:

  • অত্যন্ত ক্লান্তি।
  • ওজন কমে যাওয়া।
  • খিদে না পাওয়া।
  • নুন খাওয়ার ইচ্ছে।
  • নিম্ন রক্তচাপ।
  •  লো ব্লাড সুগার।
  • বমি করা।
  • হাইপারপিগমেন্টেশন।
  • বিষন্নতা।
  • পেটে ব্যথা।
  • পেশি বা হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা।
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কিছু ক্ষেত্রে।
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে সেক্সুয়াল ডিসফাংশন বা যৌন অসুস্থতা।

এই রোগের মূল কারণ কি?

এডিসন রোগ শরীরে বিশেষত করটিসোল এবং অ্যাল্ডোস্টেরোন হরমোনের উৎপাদনের অভাবে হয়ে থাকে। যখন অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের (যে গ্ল্যান্ডটি কিডনি ওপরের অংশে অবস্থিত) কোর্টেক্স ক্ষতিগ্রস্থ হয় তখন সাধারনত এই রোগটি হয়ে থাকে এবং সেজন্য একে প্রাথমিক অ্যাড্রিনালের অভাবও বলা হয়।

অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের ব্যর্থতার কিছু মূল কারণ হল:

  • অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের ভিতরে রক্তপাত।
  • অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডে ক্যান্সার ছড়িয়ে পরা।
  • টিউবারকুলসিস বা যক্ষ্মারোগ।
  • ফাঙ্গি, ভাইরাস, প্যারাসাইট আর ব্যাক্টেরিয়ার মতো বাহকের জন্য  অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডে সংক্রমণ হওয়া।

কিভাবে এই রোগ নির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসা করা হয়?

সাধারণত এডিসন রোগ প্রথম ধাপেই ধরা খুবই কঠিন। কিন্তু, আপনার লক্ষণ ও মেডিকাল হিস্ট্রির ওপর নির্ভর করে ডাক্তার আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবে।

এইটা করার পর, উনি আপনাকে বিভিন্ন হরমোনের মাত্রা কতটা আছে তা দেখার জন্য কিছু বায়োকেমিকাল ল্যাবরেটরি টেস্ট করতে বলবেন। আপনাকে হয়তো অ্যাবডোমেন বা পেট এবং পেলভিক স্থানের এক্স-রে করতে বলা হতে পারে যাতে ক্যালসিয়ামের ডিপোসিসন বা ঘাটতির পরীক্ষা করা যায়। আপনাকে হয়তো অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রফিক হরমোন (ACTH) স্টিমিউলেশন টেস্ট করানোর জন্য বলতে পারেন যাতে কর্টিসলের উৎপাদন দেখা যায়, অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের কার্যকারিতা ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য একবার এসিটিএইচ ইনজেকশন দেওয়া হতে পারে।

এডিসন রোগের চিকিৎসা এই কিছু পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে:

  • ওরাল হরমোনাল থেরাপি, যেখানে ওরাল ড্রাগ অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের উৎপাদন করা হরমোনের পরিবর্তে কাজ করবে। আপনাকে হয়তো  ওরাল হাইড্রোকর্টিসোন ট্যাবলেটস বা মিনেরালোকর্টিকয়েডস প্রেসক্রাইব করা হতে পারে।
  • আপনাকে হয়তো হাইড্রোকর্টিসোনের ইনট্রাভেনাস (যেটি শিরাতে দেওয়া হয়) ইনজেকশন নেওয়ার জন্য বলা হতে পারে, যা রোগীকে খুব দ্রুত সারিয়ে তোলে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 202 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,065 বার দেখা হয়েছে
02 ফেব্রুয়ারি 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,501 বার দেখা হয়েছে
31 জানুয়ারি 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,163 বার দেখা হয়েছে

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,088 জন সদস্য

128 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 126 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. damangameswiki

    100 পয়েন্ট

  3. rr88gicom

    100 পয়েন্ট

  4. LelaStonehou

    100 পয়েন্ট

  5. 1i9bet

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...