কিউআর কোড ও বারকোড এর মধ্যে পার্থক্য কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
1,276 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (28,330 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (28,330 পয়েন্ট)
বই বা অন্য কোনো পণ্যের প্যাকেটের গায়ে যে প্রায়ই দেখা যায় লম্বা লম্বা কী জানি দাগ কাটা, সেটা দেখে কি তোমার একটুও কৌতূহল হয় না—জিনিসটা কী! এর কাজই বা কী? বা বিভিন্ন পোস্টার বা প্যাকেটের গায়ে চারকোনা হিজিবিজি কী জানি দেখা যায়, সেটাই বা কী? যদি কৌতূহল হয়, তাহলে এই লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, এ বিষয়ে আপনি বেশ জ্ঞানী হয়ে যাবেন।

আসলে লম্বা করে দাগ কাটা জিনিসটাকে বলা হয় বারকোড। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের পণ্যের গায়েই বারকোড দেখা যায়। সুপারমলের কাউন্টারে দেখো না, বিক্রেতা একটা মেশিনের সাহাযে্য পণ্যের প্যাকেটের গায়ে ধরলে টিট করে একটা শব্দ হচ্ছে আর কম্পিউটারে ওই পণ্যের প্রয়োজনীয় তথ্য দেখা যাচ্ছে।

বারকোড আবিষ্কারের একেবারে প্রথম দিকে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল স্বয়ংক্রিয় গাড়ি উৎপাদন কারখানায়। জেনারেল টেলিফোন অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বারকোডের একটা প্রাথমিক সংস্করণ ব্যবহার করেছিল। সেসময় এর নাম দেওয়া হয়েছিল কারট্রেক এসিআই (অটোমেটিং কার আইডেন্টিফিকেশন)। ধীরে ধীরে অন্য নানা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। তবে সুপার মার্কেটগুলোতে ব্যবহার শুরুর পর থেকে এর ব্যাপকতা বাড়তে থাকে। তখন থেকে সর্বজনীন কোড হিসেবে এর ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। বারকোডের ‘ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোডিং’ বর্তমান সভ্যতার অন্যতম অংশ বলা যেতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত সব পণ্যে নির্ধারিত কোডিংয়ের বারকোড থাকা বাধ্যতামূলক। এতে পণ্য চিহ্নিত করা এবং পণ্যসম্পর্কিত তথ্যগুলো যাচাই করা সহজ হয়।

বারকোডে তথ্য সংরক্ষণের দুই ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। একটি হলো ‘লিনিয়ার বারকোড’। একেবারে প্রথম দিকে এ ধরনের বারকোড উদ্ভাবন করা হয়েছিল। এই ক্ষেত্রে বারকোডের দাগগুলোর এবং দাগের মাঝের খালি জায়গার প্রস্থের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মান নির্ধারণ করা হতো। অপর পদ্ধতিটি হলো ‘ম্যাট্রিক্স কোড’ বা টু ডাইমেনশনাল পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ। এগুলো অনেকটা লিনিয়ার বারকোডের মতোই, কিন্তু প্রতি ইউনিটে অনেক বেশি পরিমাণ তথ্য ধারণ করতে পারে।

‘কিউআর কোড’ ম্যাট্রিক্স বারকোড পদ্ধতিরই একটি ট্রেডমার্ক বলা যেতে পারে। স্মার্টফোন বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বলা যেতে পারে, কিউআর কোডেরও জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে বর্তমানে প্রতিটি স্মার্টফোনেই বারকোড স্ক্যানার ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। কোড স্ক্যান করে তথ্য পড়ার সুবিধার কারণে অনেক বেশি ক্ষেত্রে মানুষ এখন এই কোড ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

কিউআর কোডের পূর্ণ নাম কুইক রেসপন্স কোড। এটি প্রথম তৈরি করা হয় অটোমোটিভ প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য চিহ্নিত করার জন্য।

কিউআর কোড মোট চার ধরনের মোডে তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে: সংখ্যা, নম্বর ও সংখ্যা, বাইনারি এবং কানজি। তথ্যের ধরনের ওপর নির্ভর করে ঠিক কী পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে একটি কিউআর কোডে। বাইনারি মোডে তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা থাকায় এখানে অডিও রেকর্ড সংরক্ষণের সুবিধাও পাওয়া যায়। এককথায় সব ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করা যায় এই কিউআর কোডে।

বেশি পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করার সুবিধা ছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণে বর্তমানে কিউআর কোড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। যেমন কিউআর কোড আকারে ছোট। বারকোড এবং কিউআর কোডে যদি কোনো তথ্য সংরক্ষণ করা হয়, তবে সেই কিউআর কোডের আকার হবে বারকোডের আকারের ১০ ভাগের এক ভাগ। কিউআর কোডের ত্রুটি সংশোধনের ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিউআর কোডটির ৩০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটি থেকে তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব।

খুব প্রচলিত না হলেও কিউআর কোডে তথ্য এনক্রিপ্ট করে সংরক্ষণ করা যায়। আবার এই তথ্য পড়ার জন্যও বিশেষ ডিক্রিপ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। জাপানের ইমিগ্রেশন বিভাগ পাসপোর্টে ব্যবহৃত ভিসার সঙ্গে বিশেষ ধরনের এনক্রিপ্ট করা কিউআর কোড ব্যবহার করে থাকে।

আপনি চাইলে নিজেই নিজের কিউআর কোড তৈরি করতে পারেন।  http://goqr.me/, http://www.unitaglive.com/qrcode—  এসব ঠিকানায় গিয়ে ইচ্ছামতো নিজের তথ্য ঢুকিয়ে আপনার কিউআর কোড বানিয়ে ফেলুন।
- মেহেদী হাসান মিরাজ

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 1,514 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 5,278 বার দেখা হয়েছে
16 এপ্রিল 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ubaeid (28,330 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 7,445 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
5 টি উত্তর 1,397 বার দেখা হয়েছে
11 ডিসেম্বর 2020 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Zubayer Mahmud (11,220 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,501 বার দেখা হয়েছে

10,807 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

515,772 জন সদস্য

71 জন অনলাইনে রয়েছে
23 জন সদস্য এবং 48 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    1280 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    370 পয়েন্ট

  3. Fatema Tasnim

    340 পয়েন্ট

  4. _Polas

    160 পয়েন্ট

  5. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা মস্তিষ্ক ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...