গালে টোল পড়ে কেন?
ডিম্পল বা টোলকে বেশ আগে থেকেই ধরা হয় সৌন্দর্যের প্রতীক। গাল কিংবা থুতনিতে থাকা টোল থাকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে বিপরীতধর্মী এক সত্য। কোনো সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং শারীরিক ত্রুটির ফল হলো টোল।
কীভাবে টোলের সৃষ্টি হয়?
আমাদের হাসির জন্য দায়ী মাংসপেশিকে বলা হয় জাইগোম্যাটিক মেজর। এটি আমাদের মুখ তির্যকভাবে বাঁকা করে হাসতে সাহায্য করে। মানুষের গালের হাড় থেকে মুখের প্রান্ত পর্যন্ত এই মাংসপেশি বিস্তৃত। এই পেশির ত্রুটির কারণে টোলের সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিকের চাইতে এই পেশির আকার ছোট হলে কিংবা এটি দুই ভাগে বিভাজিত হলে থুতনিতে বা গালে টোল পড়ে। গালের টোল কেবল হাসলে দেখা গেলেও থুতনির টোল সবসময়ই দেখা যায়। সাধারণত, যাদের টোল পড়ে তাদের দুই গালেই টোল পড়ে। তবে মাঝেমধ্যে কিছু কিছু মানুষের এক গালেও টোল দেখা যায়। যদিও এই সংখ্যা নগণ্য।
কেন টোল পড়ে?
গবেষণা অনুযায়ী জেনেটিক কারণে টোল পড়ে। যদিও কেউ কেউ এর বিরোধিতাও করেন। বিভিন্ন হিসাব অনুযায়ী, মা কিংবা বাবা কারও একজনের টোল থাকলে সন্তানের টোল থাকার সম্ভাবনা ২৫ থেকে ৫৯ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দুজনের একজনের টোল সৃষ্টিকারী জীন সন্তানের মধ্যে থাকলেই চলবে। আর যদি মা-বাবা দুজনেরই টোল থাকে সেক্ষেত্রে সন্তানের টোল থাকার সম্ভাবনা ৫০-১০০ শতাংশ। আর যদি মা-বাবার কারোর টোল না থাকে তবে সন্তানের টোল থাকার সম্ভাবনা নেই, যদি না সে কোনো জেনেটিক মিউটেশনের শিকার হয়। অনেকসময় মুখে অতিরিক্ত চর্বি জমলেও গালে টোল পড়ে।
যে কারণেই হোক না কেন, গালে বা থুতনিতে টোল পড়া কোনো সৌন্দর্যের প্রতীক নয়। এটি ত্রুটি। আপনারও কি গালে টোল পড়ে? কমেন্ট করে জানান।