হিপটোনাইজ কিভাবে কাজ করে?এটি কী দেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+9 টি ভোট
837 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (2,170 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)
সম্মোহন কীভাবে কাজ করে?

সম্মোহনকালীন সময়, প্রশিক্ষিত সম্মোহনবাদী বা সম্মোহন চিকিত্সক তীব্র ঘনত্ব বা দৃষ্টি নিবদ্ধ মনোযোগ একটি রাষ্ট্র প্ররোচিত। এটি মৌখিক সংকেত এবং পুনরাবৃত্তি সহ একটি গাইডড প্রক্রিয়া।

আপনার প্রবেশ করা ট্রান-জাতীয় রাজ্যটি বিভিন্নভাবে ঘুমের মতো দেখা যেতে পারে তবে কী চলছে সে সম্পর্কে আপনি পুরোপুরি অবগত aware

আপনি এই ট্রান্স-সদৃশ অবস্থায় থাকাকালীন আপনার থেরাপিস্ট আপনার চিকিত্সাগত লক্ষ্যগুলি অর্জনে সহায়তার জন্য নকশাকৃত নির্দেশিকা পরামর্শ দেবেন।

যেহেতু আপনি মনোনিবেশের এক উচ্চতর অবস্থানে রয়েছেন, আপনি এমন প্রস্তাব বা পরামর্শের জন্য আরও উন্মুক্ত হতে পারেন যা আপনার স্বাভাবিক মানসিক অবস্থার মধ্যে আপনি উপেক্ষা করতে বা ব্রাশ হয়ে যেতে পারেন।

সেশনটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনার থেরাপিস্ট আপনাকে ট্রান্স-সদৃশ অবস্থা থেকে জাগিয়ে তুলবে, বা আপনি নিজে থেকে এটিকে প্রস্থান করবেন।

অভ্যন্তরীণ ঘনত্বের এই তীব্র স্তরের এবং কেন্দ্রীভূত মনোযোগের প্রভাব কীভাবে তা স্পষ্ট নয়।

সম্মোহক চিকিত্সা ট্রান্স-সদৃশ অবস্থায় আপনার মনের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তার বীজ স্থাপন করতে পারে এবং শীঘ্রই, এই পরিবর্তনগুলি মূল এবং সমৃদ্ধ হতে পারে।

হাইপোথেরাপি গভীরতর প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং গ্রহণযোগ্যতার উপায়ও পরিষ্কার করতে পারে। আপনার নিয়মিত মানসিক অবস্থার মধ্যে, যদি এটি "বিশৃঙ্খল" হয় তবে আপনার মন পরামর্শ এবং নির্দেশিকা শোষণে অক্ষম হতে পারে,

সম্মোহনের সময় মস্তিষ্কের কী হয়?

হার্ভার্ডের গবেষকরা গাইডড সম্মোহনকালে 57 জনের মস্তিস্ক নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তারা এটি পেয়েছে:

মস্তিষ্কের দুটি ক্ষেত্র যা আপনার দেহে যা চলছে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়বদ্ধ, সম্মোহনকালীন সময়ে আরও বেশি ক্রিয়াকলাপ দেখায়।

তেমনি, আপনার মস্তিষ্কের যে অঞ্চলটি আপনার ক্রিয়াগুলির জন্য দায়ী এবং সেই ক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন এমন অঞ্চল সম্মোহনকালে সংযোগ বিচ্ছিন্ন বলে মনে হয়।

সব কি কেবল একটি প্লেসবো প্রভাব?

এটি সম্ভব, তবে সম্মোহন মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে চিহ্নিত পার্থক্য দেখায়। এটি পরামর্শ দেয় মস্তিষ্ক সম্মোহনের জন্য একটি অনন্য উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানায়, এটি একটি প্লাসবো প্রভাবের চেয়ে শক্তিশালী।

সম্মোহন হিসাবে, প্লাসেবো প্রভাব পরামর্শ দ্বারা চালিত হয়। গাইডেড কথোপকথন বা কোনও ধরণের আচরণগত থেরাপি আচরণ এবং অনুভূতির উপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারে। সম্মোহন হ'ল থেরাপি সরঞ্জামগুলির মধ্যে একটি।

কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ঝুঁকি আছে?

সম্মোহন খুব কমই কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে বা এর ঝুঁকি রয়েছে। যতক্ষণ থেরাপি কোনও প্রশিক্ষিত হাইপোনিস্ট বা হাইপোথেরাপিস্ট দ্বারা পরিচালিত হয় ততক্ষণ এটি নিরাপদ বিকল্প থেরাপির বিকল্প হতে পারে।

কিছু লোক সহ হালকা থেকে মাঝারি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে:

মাথাব্যথা

তন্দ্রা

মাথা ঘোরা

পরিস্থিতিগত উদ্বেগ

তবে মেমোরি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত সম্মোহন একটি বিতর্কিত অনুশীলন। যে সমস্ত লোকেরা এইভাবে সম্মোহন ব্যবহার করেন তাদের উদ্বেগ, হতাশা এবং অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি ভুল স্মৃতি তৈরি করার সম্ভাবনাও বেশি থাকতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)

 সম্মোহনের কয়েকটি পর্যায় আছে।

  • মারণ
  • ত্রাটন
  • স্তম্ভন
  • বশীকরণ

১. মারণ: মারণ হল অপছন্দের লোক কিংবা কোনো শত্রুকে সম্মোহিত করে নিকেশ করে ফেলা।

২. ত্রাটন: ত্রাটন হল ত্রাণ। এর মানে হচ্ছে, সম্মোহন করে শত্রুর দুর্বলতার সুযোগ নেওয়া। সুযোগ নিয়ে তাকে বশীভূত করা।

৩. স্তম্ভন: স্তম্ভন মানে তোল্লাই দেওয়া বা বার খাওয়ানো।

এই পদ্ধতিতে ঘোরতর অপরাধীকে সম্মোহন করে এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় যে, সে অপরাধবোধ স্বীকার করে মহান হতে চায়। স্তম্ভনে ফেঁসে গিয়ে আসামী গড়গড় করে সব কিছু তদন্তকারী অফিসারকে বলে দেয়।

৪. বশীকরণ: নানা কৌশলে মানুষকে সম্মোহনের মাধ্যমে নিজের বশে এনে বিভিন্ন নির্দেশ দেয়াই বশীকরণ।

চাইলেই অবশ্য কাউকে সম্মোহন করা যায় না। কাউকে হিপনোটাইজ করতে হলে তার সাহায্য লাগবে। মানে সেই ব্যক্তি যদি ইচ্ছে না করেন তাহলে হিপনোটাইজ করা সম্ভব হয় না। সাধারণত সম্মোহিত করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে প্রথমে এক দৃষ্টিতে কোনো জিনিসের দিকে পূর্ণ মনযোগ দিয়ে তাঁকে তাকিয়ে থাকতে বলা হয়। অনেকক্ষণ যাবত যখন লোকটা কোনো কিছুর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে তখন এমনিতেই

চোখ এবং মনও কিছুটা ক্লান্ত হয়ে যাবে। তখন তাকে বলা হবে চোখ বন্ধ করতে। চোখ বন্ধ করেই সম্মোহিত ব্যক্তি ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে অনেকটা। যদি ঠিক ঠাক সম্মোহিত হয়ে থাকে, তাহলে এই পর্যায়ে হিপনোটাইজড ব্যক্তিকে সম্মোহনকারী ব্যাক্তি বিভিন্ন কথা বলবে, নির্দেশ দিবে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো হিপনোটাইজড ব্যক্তি এই নির্দেশগুলো পালন করতে শুরু করবে!

আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে খুব সাধারণ ব্যাপার।

হিপনোটিজমের এতটাই প্রভাব যে, ধরে নিন এখন গ্রীষ্মকাল। কিন্তু, আপনি যাকে হিপনোটাইজ করলেন তাকে আপনি বুঝালেন এখন শীতকাল। সম্মোহিত ব্যাক্তি তখন হিপনোটাইজড থাকা অবস্থায় ঠক ঠক করে কাঁপা শুরু করবে, প্রবল শৈত্য প্রবাহে যেমন করে মানুষ কাঁপে ওমন। সম্মোহিত ব্যাক্তি ঐ নির্দিস্ট সময়টায় নিজেকে কানা, খোঁড়া, অন্ধ, বাক শক্তিহীন সবকিছুই ভাবতে পারে। ধরেন, আপনার কোনো বন্ধু চরম পর্যায়ের বাঁচাল। কিন্তু, হিপনোটিজম করে আপনি তাকে বুঝালেন, তুমি বোবা, তুমি কথা বলতে পারবে না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঐ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সে সত্যিই বিশ্বাস করবে সে বোবা, এবং কথা বলতে পারবে না! এবং সম্মোহন ভেঙ্গে যাওয়ার পর সেই ব্যক্তি ওই নির্দিষ্ট সময়ে কী কী ঘটেছে এবং সে কী কী করেছে, তার কিছুই মনে রাখতে পারে না!

ইংল্যান্ডে একজন দাঁতের ডাক্তার ছিলেন। তার নাম ডা. এস ডেল তিনি অবশ করার কৌশল ব্যবহার না করে রোগীকে হিপনোটাইজ করে দাঁত তুলে নিতেন। দাঁত উঠানোর সফলতা কাজে লাগিয়ে হিপনোটিজম ব্যবহার করে তিনি এরপর ফুসফুসের অস্ত্রোপচারও করেন! জটিল অপারেশনের সময় রোগীর মনে যে চাপ পড়ে, দুশ্চিন্তার তৈরি হয় সেসব দূর করা সম্ভব হিপনোটিজম করে।

এতো ভালো দিক বললাম। হিপনোটিজমের অপব্যবহারেরও উদাহরণ আছে অজস্র। ১৯৭০ দশকের কথা। আমেরিকায় থাকতেন এক ভারতীয় গুরু। তার শিষ্য সংখ্যা বেশ ভালোই। একদিন তার কি মতি হলো কে জানে! তিনি তার শিষ্যদেরকে হিপনোটাইজড করে নির্দেশ দিলেন, বিষ পান করতে। একটা বড় ড্রামে তরল বিষ ভর্তি ছিলো। শিষ্যরা সম্মোহিত অবস্থায় গুরুর কথা শুনে এক গ্লাস করে বিষ পান করলো। এই ঘটনায় এক সাথে প্রায় ৭০ জন মানুষ মারা যায়! আমেরিকান সরকার তখনকার এই গণআত্মহত্যায় আতংকিত হয়ে এই ধরণের গুরুকেন্দ্রিক আশ্রম গড়ে তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো।

 

সুত্রঃ এএনএম নিউজ ডেস্ক

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 175 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 685 বার দেখা হয়েছে
+13 টি ভোট
1 উত্তর 172 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 205 বার দেখা হয়েছে
06 ডিসেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Mim (3,120 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

271,556 জন সদস্য

111 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 110 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  4. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  5. k8ccgolf

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...