ক্যালকুলেটরের হিসেব পদ্ধতি মানুষের থেকে আলাদা। আমরা দুহাতে ১০ টি আঙ্গুল থাকায় ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির সাথে অবভস্ত (০, ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯)। কিন্তু ক্যালকুলেট কাজ করে ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রনিক বর্তনীর মাধ্যমে যার শুধু মাত্র দুটো স্টেট অন নাহলে অফ। তাই ক্যালকুলেট কাজ করে বাইনারি সংখ্যা মাধ্যমে (০,১)।
যখন আমরা কোনো সংখ্যা টাইপিং প্যাড ব্যবহার করে লিখি তা স্ক্রীন এ দেখায় এরপর যোগ , বিয়োগ , গুন বা ভাগ যাই করি না কেন ক্যালকুলেটর পরের সংখ্যার সাথে যোগ করেই তার উত্তর দেয়।
যেমন ১০ এর থেকে ৫ বিয়োগ করতে বলা হলে ক্যালকুলেটর ১০ এর সাথে -৫ যোগ করবে। আবার ১০ এর সাথে ৫ গুন করতে বলা হলে ১০ শূন্যের সাথে ৫ বার নিজেই যোগ হবে। এভাবেই ক্যালকুলেট এ হিসেব নিকেশ হয়।
আর এই যোগ, বিয়োগ গুণ ভাগ করতে নানা লজিক গেট এর দরকার । মোটা মোটা কথায়, এই লজিক গেট গুলি কিছু ট্রানজিস্টর এর দ্বারা বানানো তড়িৎ বর্তনী। আমরা যখন কোনো ডিসিমেল নম্বর এর হিসেব ক্যালকুলেট এ দেই ক্যালকুলেট তা প্রথমে বাইনারি তে নিয়ে যায় ও হিসেব করার পর প্রাপ্ত ফল আবার ডিসিমেলে ডিসপ্লেতে দেখায়।
ক্যালকুলেটরে প্রতিটি ডিজিট দেখানোর জন্যে স্ক্রীনে সাত টি ছোট ছোট এল ই ডি থাকে। যার প্রয়োজনীয় পার্ট জ্বলে উঠে স্ক্রীনে ডেসিমাল সংখ্যা দেখায়।
তবে এই ক্যালকুলেট এর ইতিহাস অনেক পুরনো এবং ভবিষ্যৎ ও অনেক দূর।
- টেকনিক্যাল গুরুজী