আমাদের আশেপাশে প্রায় প্রতিটি প্রাণীরই আমরা লেজ দেখতে পাই। মানুষের জিনগত সবচেয়ে নিকটাত্মীয় ওরাংওটাং, শিম্পাঞ্জি, গরিলারও লেজ থাকে না। বিভিন্ন প্রজাতির বানরসহ আরও অনেক স্তন্যপায়ীর মধ্যে লেজ দেখা গেলেও লেজওয়ালা মানুষ আমরা দেখি না। কিন্তু কেনো?
চলুন জেনে নেওয়া যাক।
লেজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি অঙ্গ। দেহের ভারসাম্য রক্ষা, চলন এবং কোনো কিছু ধরতেও লেজ সাহায্য করে। বানরের দেহ কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। তাই ভারকেন্দ্রে দেহ স্থির রাখতে পিছনের লম্বা লেজ ভূমিকা রাখে। লেজ দিয়ে মাছিও তাড়ানো যায়।
মানুষের দেহ সটান খাড়া হয়ে থাকে। তাই ভারকেন্দ্রে মাথার ওজনকে কাটাকাটি করতে কোনো লেজের দরকার পরে না। মানুষ গাছের সাথে ঝুলে না, মাটিতে হাটে। তাই চলনেও লেজ কোনো ভূমিকা রাখে না। মাছি তাড়ানোর জন্য তো মানুষের হাত আছেই! এসব কারণেই মানবদেহে লেজের কোনো প্রয়োজনই নেই।
মানুষ ভ্রূণ অবস্থায় প্রথম চার সপ্তাহ লেজসহই থাকে। পরবর্তীতে তা ভিতরে ঢুকে যায় এবং মেরুদণ্ডের গোড়ায় কক্কিক্স নামক হাড় গঠন করে। তবে দৈবাৎ অত্যন্ত বিরল কিছু ঘটনায় লেজসহ শিশু ভূমিষ্ঠ হতে দেখা যায়। পরবর্তীতে সার্জারীর মাধ্যমে লেজটি অপসারণ করা হয়।
Source: BBC Science Focus Magazine
©️মোঃতৌফিক-ই-ইলাহী