টিকটিকির লেজ খসে যাবার পর ও নড়ার কারণ হচ্ছে লেজে থাকা স্নায়ুগুলো তখন ও এক্টিভ থাকে, লেজের স্নায়ুগুলো তখন ও সংকেত দেয় এবং পরস্পরের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখে, টিকটিকি মূলত আত্নরক্ষার জন্য লেজ ফেলে দেয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে, এতে শিকারি প্রাণী নড়তে থাকা লেজের দিকে মনোযোগ দেয় এবং এই সু্যোগে টিকটিকি পালিয়ে যায়, টিকটিকির স্নায়ুতন্ত্র সম্পূর্ণ কেন্দ্রীভুত নয়, লেজ আলাদা হবার পর সেখানে মস্তিষ্ক থেকে সংকেত না গেলেও লেজে থাকা অস্থায়ী/লোকাল স্নায়ুকেন্দ্র থেকে নার্ভ সিগনাল প্রেরিত হয় এবং এই উদ্দীপনায় লেজের পেশীগুলো নড়াচড়া করতে থাকে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালগ্যারি এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, টিকিটিকির কেটে যাওয়া লেজ শুধু এলোমেলোভাবেই লাফায় না বরং নির্দিষ্ট ছন্দে নড়াচড়া করে, যা অনেকটাই জটিল মোভমেন্ট। এই মোভমেন্টগুলো পরিচালিত হয় লেজে থাকা স্পাইনাল কর্ড এর একটি অংশ দ্বারা, যাকে এক প্রকার নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র বলা যায় যা সাধারণত মস্তিষ্কের সাথে সংযুক্ত থাকে লেজ আলাদা হবার আগে এবং তখন এই স্থানের সংকেত গুলো মস্তিষ্কের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়।
তবে এধরণের সুবিন্যস্ত মোভমেন্টের সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির বায়োলজির এসিস্টেন্ট প্রফেসর টিম হিগম্যান, তাঁর মতে লেজের সংবেদনশীলতার মাধ্যমে আশেপাশের পরিবেশ অনুভব করে এর নড়াচড়া নির্ভর করে, অর্থাৎ লেজের বাহিরের সেন্স অনুযায়ী এটি তখন নিজে থেকেই লাফিয়ে উঠে বা এদিক ওদিক ঘুরে। তাহলে এক্ষেত্রেও লেজ এলোমেলো লাফাচ্ছেনা বরং নির্দিষ্ট সংকেতের মাধ্যমেই নড়ে যা ক্যালগ্যারি ইউনিভার্সিটি এর রিসার্চেও বলেছে এবং তারা এজন্যই হয়ত বলেছিল টিকটিকির লেজের ও মন আছে।
- Warman hasbi
Source: CBS, Spokesman