রিক্সা, বাস, সিএনজি, মোটরাইকেল বা গাড়ি- বাহন যাই হোক যানজটে বসে থাকতেই হয়। রিক্সা, বাস, সিএনজিতে আছে অতিরিক্ত ভাড়া, ভীড় আর সময় মতো না পাওয়ার ঝামেলা। আর নিজস্ব যানবাহনে আছে কাগজপত্র ঠিক রাখা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ঝামেলা, তেল ও রক্ষণাবেক্ষনের খরচ ইত্যাদি।
এই ঝামেলাগুলোর সিংহভাগই নেই সাইকেলে। আর বাড়তি সুবিধা হিসেবে আছে স্বাস্থ্য ও মানসিক সুস্থতার আশ্বাস।
স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে এসব সুবিধা।
সাইকেল চালানো শুধু শরীরের জন্য ভালো তা নয়, প্রতিদিনের শত ঝামেলা মাথা থেকে সাময়িক ঝেড়ে ফেলতেও বেশ উপকারী। পাশাপাশি আমাদের ভারসাম্য, সমন্বয় এবং ক্ষীপ্রতা বাড়াতেও সাইকেল চালানো অত্যন্ত সহায়ক।
শরীর থেকে চর্বি ঝরানোর অন্যতম উপায় সাইকেল চালানো। কারণ এতে হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়, যা দ্রুত চর্বি দূর করে। গবেষণায় বলা হয় দ্রুত থেকে মাঝারি গতিতে আধা ঘণ্টা সাইকেল চালানোর পর এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে ক্যালরি পুড়তে থাকে।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সাইকেল চালানো ঘুম না হওয়ার সমস্যা দূর করে। অপর্যাপ্ত ঘুমের প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যের উপর, ফলে ‘ইনসোমনিয়া’র সমস্যা থাকলে সাইকেল চালানোর অত্যন্ত উপকারী। দ্রুত ঘুমাতে এবং ভালো ঘুম হতেও সহায়ক সাইকেল চালানো।
সাইকেল চালানো একটি পূর্ণাঙ্গ শরীরচর্চা, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সাইকেল চালানোর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বাড়ে এবং ফুসফুসকে দ্রুত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
কর্মক্ষমতা এবং শারীরিক গঠনেও উন্নতি আসে সাইকেল চালানোর মাধ্যমে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতি সপ্তাহে ৩০ কিলোমিটার বা তার বেশি পরিমাণ সাইকেল চালান তাদের হৃদরোগের আশঙ্কা অনেক কম থাকে।
অন্যান্য ভার উত্তোলনভিত্তিক ব্যায়ামগুলোর তুলনায় সাইকেল চালানোতে হাড়ের জোড়ে চাপ পড়ে কম। তাই ব্যালেন্স ঠিক রেখে চালাতে শিখে গেলে ব্যথা পাওয়ার সম্ভবনাও কম থাকে। পাশাপাশি পায়ের পেশিও সুগঠিত হয়।
পরিশেষে বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপ দূর করতে ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজ বাড়াতে সাইকেল চালানো অত্যন্ত উপকারী।
ক্রেডিট: বিডিনিউজ ২৪