মহাকাশে পেন্সিল বা কলম ব্যবহার করা হয় না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
8,169 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

4 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

অনেকেই হয়ত থ্রি ইডিয়টস মুভিটি দেখেছেন। ছবির শুরুতে বোমান ইরানি (ভাইরাস) সকল ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটি পেন দেখান। একটি অ্যাস্ট্রোনট পেন ছিল সেটি। মহাশূন্যে বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করা যায় না। তাই অ্যাস্ট্রোনট পেন ব্যবহার করা হয়। তখন আমির খান বোমান ইরানিকে ( ভাইরাস) বলেন তাহলে পেন্সিল ব্যবহার করা হয় না কেন? এই ছিল ছবির কাহিনী....

আসলে মহাশূন্যে পেন্সিল ব্যবহার করা হয় না। এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে :

মহাকাশযাত্রার প্রথম দিকে, রাশিয়ান এবং আমেরিকান, দুই জাতিই মহাকাশে গিয়ে পেন্সিলই ব্যবহার করতো। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, পেন্সিলের নিব গ্রাফাইট দিয়ে তৈরি, যেটা তাপ ও বিদ্যুতের অত্যন্ত ভালো মানের পরিবাহক। অভিকর্ষহীন মহাকাশে ভেঙ্গে যাওয়া নিব-এর টুকরো বেশ ভালোরকম সমস্যার জন্ম দিতে পারে। যেমন - বাতাসের ভেন্টিলেশন সিস্টেমে বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতির মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। তখন শর্ট সার্কিট হতে পারে, ক্যাপসুলের বিশুদ্ধ অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে আগুন ধরে যেতে পারে।

অ্যাপোলো-১ এর সকল মহাকাশচারী আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পর, নাসা এমন একটা লেখার উপকরণ খুঁজছিলো, যেটাতে আগুনের কোনো ঝুঁকি না নেয়। তখন Paul C Fisher এর কলম বানানোর প্রতিষ্ঠান Fisher Space Pen Company বাজেট করলো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। এরপর নাসা প্রতিটি কলম কিনে নিলো মাত্র ২ ডলার ৯৫ সেন্ট দিয়ে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই রাশিয়ানরাও পেন্সিল বাদ দিয়ে এই বিশেষ কলম ব্যবহার করা শুরু করলো।

প্রথম দিকে নাসা যখন মহাকাশযান পাঠানো আরম্ভ করলো, তখন বুঝলো যে বলপয়েন্ট কলম অভিকর্ষ ছাড়া কাজ করবে না। তখন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হলো, এমন এক কলম বানানোর জন্য যেটা যে কোনো পৃষ্ঠে, যে কোনো কোণে, শূন্যের নিচে থেকে শুরু করে ৩০০ ডিগ্রী সেণ্টিগ্রেড তাপমাত্রা পর্যন্ত কাজ করবে।

তথ্যসুত্র: ধ্রুবতারা (ত্রৈমাসিক বিজ্ঞান পত্রিকা)

+1 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)

আমরা সবাই 3 idiots মুভির কথা জানি!

মুভির প্রথমে প্রিন্সিপাল যখন ওনার হাতের স্পেস পেন দেখিয়ে বলেন এটা স্পেসে ব্যবহারের জন্য এস্ট্রনোট পেন। কয়েক লাখ ডলারের পেন। তখন আমির খান প্রশ্ন করে, নাসা কেন পেন্সিল ব্যবহার করেনি? তাহলে লাখো ডলার বেঁচে যেত।

image

বিজ্ঞানের এক জয়যাত্রা,,,,জিরো গ্ৰাভিটি পেন বা space pen মহাকাশে সাধারণ পেনের সাহায্যে লেখা যায় না কারণ সেখানে জিরো অথবা মাইক্রো গ্রাভিটি তে সাধারণ পেন কাজ করে না ৷ তো মহাকাশে লেখা যায় এমন পেনের দরকার হয় নাসার ৷ বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পর নাসা তাদের হিউম্যান বা মনুষ্যবাহী স্পেস মিশনের জন্য এ ‘ফিশার স্পেস পেন’ বেছে নেয়। বর্তমানে আমেরিকা এবং রাশিয়া দুই দেশই এটা ব্যবহার করছে।

‘জিরো গ্র্যাভিটি পেন’ নামে পরিচিত এ কলমে ব্যবহার করা হয়েছে নাইট্রোজেন গ্যাস যুক্ত প্রেশারাইজড্‌ ইঙ্ক কার্ট্রিজ। জলের নীচে, মহাশূন্যে, ভেজা ও তৈলাক্ত কাগজের উপর, যে কোনো কোণে, উপরে নীচে যেমন ভাবে খুশি এর সাহায্যে লেখা সম্ভব। এ কলমটি আবিষ্কার করেন আমেরিকার পল সি ফিশার ৷

ফিশার এই পেন নাসাকে অফার করে ৷ মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী নাসা ৪০০টি এই পেন প্রতি ইউনিট এ ৬ ডলার এর বিনিময়ে কেনে অ্যাপোলো প্রোজেক্ট এর জন্য ৷ ১৯৬৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ১০০টি এই পেন কিনেছিল সয়ূজ মিশনের জন্য ৷

তবে প্রশ্ন, পেনের বদলে পেন্সিল কেনো ব্যবহার করে না স্পেস এজেন্সিরা ?

তাহলে লক্ষ লক্ষ ডলার বেঁচে যেতো, আসলে ফিশার স্পেস পেন আবিষ্কার এর পূর্বে পেন্সিলই ব্যবহার করত নাসা অ্যাস্ট্রোনট এবং সোভিয়েত কসমোনটসরা ৷ কিন্তু মহাকাশে পেন্সিল ব্যবহার করা খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ৷

পেন্সিলের গ্রাফাইটের গুড়ো বা ছোটো টুকরো ভেঙে গেলেও সেটা জিরো গ্রাভিটি র জন্য ভাসমান অবস্থায় থাকবে এবং মহাকাশচারী দের নাক, কান বা চোখে ঢুকে যাওয়ার ভয় আছে ৷ তাছাড়া ছোটো টুকরো কোথাও আটকে গিয়ে পুরো মহাকাশযান বা স্পেস ক্রাফ্টকে ড্যামেজ করে দিতে পারে ৷ পেন্সিলের নিব গ্রাফাইট দিয়ে তৈরি, যেটা তাপ ও বিদ্যুতের অত্যন্ত ভালো মানের পরিবাহক। অভিকর্ষহীন মহাকাশে নিব-এর গুঁড়ো বেশ ভালোরকম সমস্যার জন্ম দিতে পারে। যেমন – বাতাসের ভেন্টিলেশন সিস্টেমে বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতির মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। তখন শর্ট সার্কিট হতে পারে, ক্যাপসুলের বিশুদ্ধ অক্সিজেনযুক্ত পরিবেশে আগুন ধরে যেতে পারে। তাই স্পেস পেন ব্যবহার করা হয় ৷

তথ্যসূত্রঃ স্মার্ট আপডেট

0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
জিরো গ্র্যাভিটি পেন’ নামে পরিচিত এ কলমে ব্যবহার করা হয়েছে নাইট্রোজেন গ্যাস যুক্ত প্রেশারাইজড্‌ ইঙ্ক কার্ট্রিজ। জলের নীচে, মহাশূন্যে, ভেজা ও তৈলাক্ত কাগজের উপর, যে কোনো কোণে, উপরে নীচে যেমন ভাবে খুশি এর সাহায্যে লেখা সম্ভব। এ কলমটি আবিষ্কার করেন আমেরিকার পল সি ফিশার ৷

ফিশার এই পেন নাসাকে অফার করে ৷ মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী নাসা ৪০০টি এই পেন প্রতি ইউনিট এ ৬ ডলার এর বিনিময়ে কেনে অ্যাপোলো প্রোজেক্ট এর জন্য ৷ ১৯৬৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ১০০টি এই পেন কিনেছিল সয়ূজ মিশনের জন্য ৷
0 টি ভোট
করেছেন (160 পয়েন্ট)
১৬ই জুলাই, ১৯৬৯ এ Apollo-11 পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। Apollo-11 স্পেস ক্রাফটের ৩টি প্রধান অংশ ছিল: Command module (শুরুর অংশ), Service module (মাঝের অংশ), Lunar module (শেষের দিকের অংশ)।

Command Module+ Service Module= CSM।

মিশনকে লিড করছিলেন কমান্ডার Neil Armstrong, মডিউল পাইলট ছিলেন Michael Collins এবং লুনার মডিউল পাইলট হিসেবে ছিলেন Edwin Buzz Aldrin।

 

|| কলম ব্যবহারের কারণ:

এখানে উদ্দেশ্য ছিলো যে, শুধুমাত্র লুনার মডিউলই আলাদা হয়ে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। লুনার মডিউল এর প্রায় ২১ঘণ্টা চাঁদে থাকার কথা ছিলো। এরপর উপরে গিয়ে CSM মডিউল এর সাথে এটাচড হওয়ার কথা ছিলো। যার মাধ্যমে astronaut রা পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। ১৯ জুলাই, Apollo-11 চাঁদের অরবিটে পৌঁছায়। এখানে CMS, লুনার মডিউল থেকে আলাদা হয়ে যায়। কমান্ড মডিউলে বসে ছিলেন Michael Collins। যার কাজ ছিলো চাঁদের অরবিটে অবস্থান করা (অর্থাৎ, চাঁদে পা রাখার সুযোগ Michael Collinse এর ছিলো না)। কিন্তু উপরে যাওয়ার জন্য প্রপালশোন প্রয়োজন, যেটি করতে আবার দরকার ইঞ্জিন। Neil Armstrong এবং Buzz Aldrin দুইজনের কেউই জানতেন না যে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার সময় ঐ ইঞ্জিনকে চালানোর জন্য যে সুইচ দরকার তা ভেঙ্গে গিয়েছিল (সুইচ বেসিক্যালি একটা ইলেকট্রিক সার্কিটকে পুনরায় জুড়ে দেওয়ার কাজ করে)। তাঁরা সুইচ ভাঙ্গার শব্দ পাননি কারণ, চাঁদে কোনো বাতাস নেই। তখন Buzz Aldrin এই সমস্যা সমাধানের জন্য আশেপাশে তাকালে নিজের space pen দেখতে পান। সেই পেন ব্যবহার করেন সার্কিট পুনরায় জোড়া লাগানোর জন্য এবং ইঞ্জিন চালু করতে সক্ষম হন। অবশেষে লুনার মডিউল CSM মডিউল এর সাথে যুক্ত হয় এবং তাঁরা ৩জন পৃথিবীর দিকে ফিরে আসার যাত্রা শুরু করেন।

 

|| পেন্সিল ব্যবহার না করার কারণ:

পেন্সিলের শিস ভেঙে গেলে ছোট ছোট টুকরো বা গুঁড়ো ছিটকে যেতে পারে, যা শূন্য মাধ্যাকর্ষণ (zero-gravity) অবস্থায় চারপাশে ভেসে বেড়াতে পারে। এটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের মধ্যে ঢুকে শর্ট সার্কিট বা অন্য কোনো যান্ত্রিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

পেন্সিলের কাঠ এবং গ্রাফাইট দাহ্য। ফলে আগুন লাগার সম্ভাবনা থেকে যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 284 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
5 টি উত্তর 2,396 বার দেখা হয়েছে
03 ডিসেম্বর 2021 "আইকিউ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ismot Rahman (28,740 পয়েন্ট)
+11 টি ভোট
1 উত্তর 1,121 বার দেখা হয়েছে
+14 টি ভোট
1 উত্তর 541 বার দেখা হয়েছে
12 জানুয়ারি 2020 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,130 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 551 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,674 জন সদস্য

211 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 210 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. keonhacaibearpak

    100 পয়েন্ট

  5. HaiMiller79

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...