DNA অনুতে গ্রথিত রাসায়নিক তথ্যগুলোকে RNA বা mRNA অনুতে কপি করার প্রক্রিয়াকে ট্রান্সক্রিপশন বলে। এক কথায় বলা যায় যে, DNA থেকে RNA উৎপাদন প্রক্রিয়ার নাম হলো ট্রান্সক্রিপশন।
ট্রন্সক্রিপশন পদ্ধতিঃ
➠ DNA অনুর যে টুকু জায়গা ১টি mRNA অনুকে ট্রান্সক্রিপ্ট করে তাকে ট্রান্সক্রিপশন একক বলে।
➠ ট্রান্সক্রিপশনের শুরুতেই ট্রান্সক্রিপশন এককের নির্দিষ্ট স্থানে হেলিকেজ এনজাইমের প্রভাবে DNA এর সূত্রগুলোর মধ্যকার হাইড্রোজেন বন্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সূত্রগুলো পৃথক হয়ে পড়ে।
➠ পৃথক DNA সূত্রের অভিমূখী সূত্রটি mRNA তৈরির ছাঁচ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং অভিমুখে RNA এর ট্রান্সক্রিপশন শুরু হয়।
➠ RNA এর যে সূত্রটি ছাঁচ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাকে ট্রান্সক্রাইবিং সূত্র বলে এবং অপর DNA সূত্রটিকে কমপ্লিমেন্টারী সূত্র বলে।
➠ RNA পলিমারেজ এনজাইমের প্রভাবে ট্রান্সক্রাইবিং শুরু হয়। ছাঁচ DNA সূত্রের অভিমুখে একটি করে নিউিইক্লওটাইড ধরে অগ্রসর হয় এবং পরিপূরক ক্ষারক যুক্ত করে mRNA উৎপন্ন করে। এ ক্ষেত্রে ট্রন্সক্রাইবিং সূত্রের A,T,G,C ক্ষারকের বিপরিতে যথাক্রমে UTP, ATP, GTP ও CTP সংযুক্ত হয়। একই সাথে পিছনে DNA ডাবল হেলিক্স পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
➠ তৈরিকৃত mRNA সূত্রটি হবে ছাঁচ DNA সূত্রের বিপরিত কিন্তু কমপ্লিমেন্টারী সূত্রের অনুরুপ। শুধুমাত্র DNA এর থায়ামিনের (T) বদলে mRNA তে ইউরাসিল (U) যুক্ত হবে।
➠ ট্রান্সক্রিপশন শেষে RNA পলিমারেজ এনজাইম ট্রন্সট্রাইবিং সূত্র থেকে পৃথক হয়ে যায়। এভাবে ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।