নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে বিষয়টি বুঝতে হবে,
আসুন আগে বাস্তব উদাহরণ থেকে কিছু সহজ বিষয় বুঝে নেই,
একজন সাতারু সুইমিং পুলের পানির মধ্যে সাতার কেটে সামনে এগিয়ে যায়, সুইমিং পুলে পানি না থাকলে সাতরানো সম্ভব হতো না। কারন হচ্ছে সাতারু পানির সাপেক্ষে ভেসে থাকে, আর পানির সাপেক্ষেই তার হাত এবং পায়ের শক্তি কে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। পানি না থাকল, সাতারু পানিতে না ভাসতে পারবে না শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে।
উক্ত উদাহরণ থেকে এটা বুঝালাম যে বল প্রয়োগ করতে হয় কোনো একটা তলের উপর যে তল প্রয়োগকৃত বলের বিপরিতে প্রতিক্রিয়া বল সৃষ্টি করতে পারে। ( সাধারণত তিন প্রকার তলে কার্য সম্পাদন হয়ঃ কঠিন তল, তরল তল, বায়োবিয় তল৷) নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে প্রতিক্রিয়া না থাকলে কোনো কাজ হওয়া সম্ভব নয়। নিউটন তার তৃতীয় সুত্রে বলেনঃ প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরিত প্রতিক্রিয়া থাকে। উপরিউক্ত বিষয় গুলা খেয়াল করলে বোঝা যায় কার্য সম্পন্নকরণে জন্য কোনো একটা তলের উপর বল প্রয়োগ করতে হয় যে তল থেকে প্রতিক্রিয়া বল উৎপন্ন হওয়ার মাধ্যমেই মুলত কাজটি সম্পুর্ন হয়। কাজের পরিমান শুন্য হয় যখন প্রতিক্রিয়া বল শুন্য, প্রতিক্রিয়া বল শুন্য হয় যখন প্রয়োগকৃত বল কোনো তলে পতিত না হয়।
আমরা যখন হাটি অথবা দৌড়াই তখন আমাদের পা রাস্তায় বল প্রয়োগ করে তখন রাস্তা আমাদের পায়ে প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে ফলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।যদি রাস্তা না থাকে সেক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া বল হবে শুন্য কাজেই আমরা হাটতে বা দৌড়াতে পারবো না। গাড়ির চাকা ও গাড়িকে একই ভাবে সামনের দিকে চালনা করতে পারে। জাহাজের প্রপেলার ঘুরে যে বল পানিতে প্রয়োগ করে পানি ঐ বলের বিপরিতে প্রতিক্রিয়া বল সৃষ্টি করে ফলে জাহাজ সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
এখন বলা যায় যেঃ বায়ু শুন্য স্থানে বিমান ভেসে থাকার জন্য এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যে বল প্রয়োগ করে সে বল এর পরিমান ঠিক থাকলেও যে তল থেকে নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে প্রতিক্রিয়া বল উৎপন্ন হয়ে বিমান ভেসে থেকে সামনে এগিয়ে যাবে সে তল টি ( বাতাস ) অনুপস্থিত থাকে। ফলে বিমান থেকে প্রয়োগ করা বল থেকে কোনো কাজ হওয়া সম্ভব নয়। তাই বিমান বায়ুশূন্য স্থানে উড়তে পারেনা।