পাখি ওড়ে আকাশে। কিন্তু সেখানে বায়ু আছে কি না তা অনেকেই হয়তো ভেবে দেখেননি। কিন্তু যখন শুনবেন পাখি বায়ুশূন্য স্থানে উড়তে পারে না, তখনই ধারণা করতে পারবেন পাখি যত উপড়ে উড়তে পারে, তত দূর নিশ্চয় বায়ু আছে। এখন প্রশ্ন হলো, কেন পাখি বায়ুশূন্য স্থানে উড়তে পারে না? এবার হয়তো বলবেন এটা তো কখনো ভেবে দেখিনি। এটা বোঝার জন্য আগে আপনাকে জানতে হবে পাখি ওড়ে কিভাবে? নিউটনের তৃতীয় সূত্রের কথা মনে আছে নিশ্চয়, প্রতিটি ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। নিউটনের সূত্রটি কাজে লাগায় পাখিরা। পাখিরা ওড়ার সময় ডানা দিয়ে বাতাসে নিচের দিকে বল প্রয়োগ করে। তখন বাতাসও নিউটনের সূত্রানুযায়ী ওপরের দিকে বল প্রয়োগ করে। ফলে পাখিরা খুব সহজেই বায়ুতে ভাসতে পারে এবং উড়তে পারে। নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, পাখিরা কিভাবে বায়ুর ওপর ডানায় ভর প্রয়োগ করে ওড়ে। আর তাই বায়ুশূন্য স্থানে পাখিরা উড়তে পারে না। ঠিক একই রকম বিমান বা হেলিকপ্টারও বায়ুশূন্য স্থানে উড়তে পারবে না। কারণ বিমান ও হেলিকপ্টারও একইভাবে বায়ুর ওপর ঘূর্ণায়মান পাখায় ভর প্রয়োগ করে বাতাসে ভেসে থাকে এবং চলাচল করে। কিন্তু রকেটের ক্ষেত্রে আবার ভিন্ন। কারণ রকেট চলে তার পেছনের একটি চেম্বারে জ্বালানি বিস্ফোরণে সৃষ্ট চাপ বা ধাক্কায়। তাই বিমান বা হেলিকপ্টার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে বের হতে পারে না। কিন্তু রকেট অন্য সৌরজগৎ থেকেও ঘুরে আসতে পারে।
ক্রেডিট: কালের কন্ঠ