ক্যালসিয়ামের অভাবে আমাদের শরীরে যে মারাত্মক প্রভাব পড়ে বা যে লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হলোঃ-
i) পায়ে খেঁচুনি ধরাঃ
যদি আপনারা আপনাদের পায়ে খেঁচুনি ধরা অনুভব করেন, তাহলে এটা ক্যালসিয়ামের অভাবের প্রথম লক্ষণ।এর প্রতিকারে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার রোজকার খাবারে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাছাড়া, ক্লেভেলান্ড ক্লিনিক বলেছে যে শোওয়ার আগে পা প্রসারিত করুন তাতে ব্যথা কিছু কম লাগবে। এটা কি বিশ্বাস করেন? না করলে একবার চেষ্টা করে দেখুন!
ii) দাঁতের গর্তঃ
আগের চেয়ে দাঁতের গর্ত বাড়ছে? শুধু মিষ্টিকে দোষ দেবেন না।যখন আমাদের শরীর খাবার থেকে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম পায় না, এটি অন্যান্য উৎস থেকে খোঁজে, যেমন আমাদের দাঁত। iii) অসাড় অবস্থাঃ পায়ে খেঁচুনি ধরার মতো ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যে আমাদের হাতের স্প্ল্যাশাল স্নায়ু নষ্ট হয়ে যায়। যদি আপনি আগুলের ওপর অস্থিরতা বা ঝলকানি সংবেদন অনুভব করেন তাহলে এখুনি ক্যালসিয়ামের পরিমাণ পরীক্ষা করান।
iii) ভঙ্গুর নখঃ
দাঁত ও শরীরের মতো নখেও ক্যালসিয়াম থাকে। অতএব, একটি ক্যালসিয়াম-অনাহারী শরীর পুষ্টির জন্য সেখান থেকে ক্যালসিয়াম নেবে। এটার জন্যে আমাদের নখ ভঙ্গুর হয়ে যায়, যদি না আমরা বেশি ক্যালসিয়াম গ্রহণ না করি।
iv) ঘুমের অসুবিধাঃ
মেডিকেল তথ্য আনুসারে ক্যালসিয়াম সেরোটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা কিনা ঘুমের জন্যে দায়ি। যখন আপনি গভীর ঘুমে যান, তখন আপনার ক্যালসিয়ামের লেভেল বেড়ে যায়। সুতরাং যদি আপনি রাতে কম ঘুমান তাহলে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব বাড়বে।
v) বাজে অঙ্গবিন্যাসঃ
কম ক্যালসিয়াম মানে, দুর্বল হাড় এবং দুর্বল হাড় মানে দুর্বল শরীর। আপনার শরীর এই দুর্বলতার জন্যে জবুথবু হয়ে যাবে। এই বাজে অঙ্গবিন্যাসের জন্যে পিঠে ও কাঁধে ব্যাথা বাড়বে।
vi) হৃদরোগের আক্রমণঃ
জৈবপ্রযুক্তি জাতীয় কেন্দ্র বলছে যে ক্যালসিয়াম পেশী সংকোচন এবং নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ দরকারি। সুতরাং ক্যালসিয়ামের অভাব হৃদরোগের আক্রমণের কারন হতে পারে।
vii) স্মৃতিশক্তি হ্রাসঃ
রিমোট কোথায় মনে করতে পারছেন না? ক্যালসিয়ামের অভাবের জন্যে স্নায়বিক উপসর্গগুলি হয় যেমন স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও ভুলে যাওয়া।