নিজের কথা রেকর্ড করলে অদ্ভুত শোনায় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+15 টি ভোট
1,687 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (11,730 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (11,730 পয়েন্ট)
নিজের গলা রেকর্ড করার পর তা শুনে কি নিজেই আঁতকে উঠেছেন? আপনার গলা হয়তো আরো রুক্ষ বা মিষ্টি শোনাচ্ছে। আমার তো নিজের কন্ঠ শুনে কেমন যেন লাগে। আপনি রেকর্ড করে আপনার কণ্ঠস্বর যেরকম শুনতে পান সেটাই কিন্তু আপনার আসল কণ্ঠস্বর। আমরা যখন কোন শব্দ শুনি তখন সেই শব্দ আমাদের মস্তিষ্কে দুইভাবে পৌঁছতে পারে।
আমরা যখন বাইরে থেকে কোন শব্দ শুনি, সেটা বাতাসের মাধ্যমে আমাদের কানে প্রবেশ করে, তারপর কানের পর্দা বা ইয়ার ড্রাম দিয়ে গিয়ে কানের ভেতরে ককলিয়া (cochlea) অংশে যায়, সেখান থেকে এই শব্দ তরঙ্গ আমাদের মস্তিষ্কে গিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে এটা কিসের শব্দ। তাই অন্যকেউ আপনার কথা শুনলে তিনি এই পদ্ধতিতে শুনবেন।

কিন্তু আমরা নিজে যখন নিজের কথাগুলো শুনি, তখন সেই আওয়াজ আমাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করে দুইভাবে। একটা হচ্ছে ওই বাতাসের মাধ্যমে পৌঁছনো। এই শব্দের আরেকটা অংশ আমাদের মাথার হাড়ের মধ্যে দিয়ে ঘুরে গিয়ে সরাসরি ককলিয়ায় যায় এবং তারপর মস্তিষ্কে পৌঁছয়। এটাকে বলে বোন কন্ডাকশন (bone conduction)। আমরা যখন রেকর্ড করি তখন ওই বোন কন্ডাকশনের ব্যাপারটা থাকে না। বোন কন্ডাকশন থাকাকালীন নিজের গলাটা কিছুটা বেশি গভীর বা ভরাট লাগে শুনতে, পরে রেকর্ড করে শুনলে মনে হয় যে আমাদের গলাটা তার চেয়ে আরেকটু অন্যরকম। অর্থাৎ অন্যরা আমার কথা যেভাবে শোনেন আমিও তখন নিজের কথা সেভাবে শুনি ,তাই আলাদা লাগে শুনতে।

এই প্রসঙ্গে বলি, প্রখ্যাত সঙ্গীতস্রষ্টা স্যার Ludwig van Beethoven এই বোন কন্ডাকশনের ব্যাপারটা খুব সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন। ভদ্রলোক কম বয়স থেকেই কানে ভাল শুনতেন না। তিনি তার নিজের সৃষ্টি শোনার জন্য তার পিয়ানোর মধ্যে একটা দণ্ড লাগালেন, দণ্ডের আরেক দিক লাগালেন তাঁর দাঁতের মাঝখানে। তখন তাঁর সঙ্গীতের সুর সেই দণ্ডের মধ্যে দিয়ে গিয়ে তাঁর হাড়ের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করার ফলে তিনি তা শুনতে পেতেন। পরে এই বোন কন্ডাকশন ব্যাপারটি কানে শোনার মেশিন বানাতে কাজে লাগানো হয়েছিল। -Shreyashi Bhattacharjee
0 টি ভোট
করেছেন (43,970 পয়েন্ট)
আমরা যখন রেকর্ড করি তখন ওই bone conduction ব্যাপারটা থাকে না । বোন কন্ডাকশন থাকাকালীন নিজের গলাটা কিছুটা বেশি গভীর বা ভরাট লাগে শুনতে, পরে রেকর্ড করে শুনলে মনে হয় যে আমাদের গলাটা তার চেয়ে আরেকটু অন্যরকম । অর্থাৎ অন্যরা আমার কথা যেভাবে শোনেন আমিও তখন নিজের কথা সেভাবে শুনি ,তাই আলাদা লাগে শুনতে ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 306 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,463 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,229 বার দেখা হয়েছে
19 অক্টোবর 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)

10,743 টি প্রশ্ন

18,394 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,873 জন সদস্য

66 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 66 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    930 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    220 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. Muhammad_Alif

    120 পয়েন্ট

  5. memo

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি #science স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...