আমরা যখন কথা বলি, তখন আমাদের বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনিসমূহ দু'ভাবে নিজেদের কানের ককলিয়াতে পৌঁছায়। প্রথমত, বাতাসের মাধ্যমে, এবং দ্বিতীয়ত, হাড়ের মাধ্যমে। ফুসফুস তাড়িত বাতাস বাক-প্রত্যঙ্গের সাথে ধাক্কা খেয়ে যখন অর্থপূর্ণ কথা-তে পরিণত হয়, তখন সেগুলো মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসে বাতাসের মাধ্যমে কানের অভ্যন্তরীণ ককলিয়ায় প্রেরিত হয়, ফলে আমরা শুনতে পাই। একইসাথে আমাদের উচ্চারিত শব্দতরঙ্গ মাথার খুলির হাড়ের মধ্য দিয়েও ককলিয়ায় পৌঁছায়। তাই আমরা নিজেদের যে কথা শুনি, তা মূলত দুটো মাধ্যম হতে আসা শব্দের মিশেল। অন্যদিকে রেকর্ডারে শুধু বাতাসের মাধ্যমে আসা কথা ধরা পড়ে, তাই শুনতে অন্যরকম মনে হয়। আসলে রেকর্ডারে যা শোনা হয়, তাই আমাদের আসল কণ্ঠস্বর, কেননা শ্রোতা বাতাসের মাধ্যমে আসা শব্দতরঙ্গই শুনে।