চাষ করা যায় কী না তার পরীক্ষা চলছে চাদপুরে। গ্রোথ ও স্বাদ সাধারণত হয় না বললেই জানি। তবুও গবেষণা চলছে। অদুর ভবিষ্যতে হলেও হতে পারে।
মহেশপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, ভারতের মনিপুরি রাজ্যে মাছটি ব্যাপক চাষ হয়। সেজন্য এটি মনিপুরি ইলিশ হিসেবে পরিচিত। মাছটি পেংবা বলেও অনেকস্থানে পরিচিত। মৎস্যচাষিরা পুকুরে ওই ইলিশ চাষ শুরু করেছেন। মৎস্য বিভাগ সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। কোথায় কী সমস্যা তার খোঁজখবর রাখছেন। চাষের প্রযুক্তি জ্ঞানও দিচ্ছেন। এলাকার আত্তাব আলী, সজিব হোসেন, ওসমান গণী, জায়েদ আলী, আব্দুর রহিম, মকছেদ আলী, জুলমত আলীসহ মৎস্যচাষিদের কথা এলাকার প্রায় অর্ধশত পুকুরে ১০ লাখ পোনা ছাড়া হয়েছে। মৎস্যচাষি আব্দুল আলিম একাই ৪ বিঘার একটি পুকুরে ৬০ হাজার পোনা ছেড়েছেন। পুকুরে পোনা ছাড়ার সময় কেজিতে ৫ হাজার বাচ্চা ছিল, যা গত দেড় মাসে অনেকটা বড় হয়েছে। বর্তমানে ৩৫ টি মাছে এক কেজি ওজন হচ্ছে। ৭ থেকে ৮ মাস বয়স হলেই বাজারে তোলা যাবে। মিঠাপানিতে উৎপাদিত এই মাছ বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি হলে ইলিশের চাহিদা অনেকটা পুরণের পাশাপাশি চাষীরাও লাভবান হবেন।
©️দৈনিক ইনকিলাব (অক্টোবর ২০২০)