ঘুম দুই ধরনের।
১. NREM ( Non rapid eye movement) -জাগরণ অবস্থা থেকে ঘুম যাওয়ার পরপর ই এই স্টেজ যেখানে পেশীগুলো শিথিল থাকে,হৃদস্পন্দন, শ্বাসপ্রশ্বাস, চোখের নড়চড়া ধীরগতিতে থাকবে। ধীরে ধীরে দেহের তাপমাত্রা হ্রাস পায়,চোখের নড়াচড়া সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীর ও মন সম্পূর্ণ বিশ্রাম পায়। এই ধরনের ঘুম তিনটি স্টেজে শেষ হয়। এরপর ই আসে REM স্টেজ।
২. REM(Rapid eye movement )।এই ধরনের ঘুমে চোখ বন্ধ পাতার নিচে দ্রুত নড়াচড়া করতে থাকে। এই পর্যায়ে স্বপ্ন দেখা হয়। ঘুম যাওয়ার প্রায় ৯০ মিনিট পর পর্যায়টি ঘটে থাকে। এইসময় হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়, মস্তিষ্ক সজাগ হয়। আর পেশীগুলো প্যারালাইজড হয়ে যায় যাতে স্বপ্নে যেইসব কার্যকালাপ হচ্ছে সেগুলোকে বাস্তব ভেবে আপনি হাত পায়ের নড়াচড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হোন। তখন আকস্মিক চিৎকার করলে মস্তিষ্কের জন্য ব্যাপারটা হঠাৎ হয়ে গেলে মস্তিষ্ক ব্যাপার টা সামাল দিতে পারেনা এবং প্যারালাইজড পেশী গুলোর উপর জোরপূর্বক চাপ পড়ে আমাদের ক্ষতি হতে পারে বলে আওয়াজ বের হয়না।
সারারাত ধরে এই দুটো পর্যায় চলতে থাকে। গভীর রাতের আরইএম পর্যায়টি ভোরের দিকে হয় ।এবং সারাদিনের স্মৃতিগুলো একীভূত করার জন্য পর্যায় টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ.
Answered by: Zaima Ferdous Neha