কম্পিউটারে যত ধরণের নেটওয়ার্কিং পরিচালিত হয় সবই ক্লায়েন্ট-সার্ভার প্রযুক্তিতে চলে। একটু কষ্ট করে বুঝে নিতে হয় আর কি। সমস্ত (ফুলডুপ্লেক্স) কমিউনিকেশনেই দেখবেন সেন্ড/রিসিভ দুটি আলাদা বাস(কেবল) থাকবে। এখানে Rx অর্থ্যাৎ রিসিভ/গ্রহণ ও Tx অর্থ্যাৎ সেন্ড/প্রেরণ দুটি মেথডে তথ্য প্রেরণ এবং আমদানী করা হয়।
এখন দুজনের যেকোন একজনকে হোষ্ট এবং অন্যজনকে ক্লায়েন্ট সাজতে হবে অন্যথায় ডেটা ট্রান্সফার সম্ভবপর হবে না। ধরুন আপনি একটি পেনড্রাইভ কম্পিউটারে লাগিয়ে ডেটা ট্রান্সফার করতে চাইছেন এখানে আপনার পিসি হবে হোষ্ট আর পেনড্রাইভটি হবে ক্লায়েন্ট।
এবার একটি রিয়েল লাইফ এক্সাম্পল নিয়ে আলোচনা করি। ধরুন আপনি এই মুহুর্তে bn.quora.com (IPv4 151.101.1.2) তে কানেক্টেড আছেন। এখন আপনার ওয়েব-ব্রাউজারটি ক্লায়েন্ট আর IPv4 টি হচ্ছে সার্ভার। তো সার্ভারে HTTP(s) হ্যান্ডেল করার জন্য একটি (nginx) সফটওয়্যার নিয়োজিত আছে যা সার্বক্ষণিক TCP 443 পোর্টের দিকে নজর রাখছে। আপনার ব্রাউজার যখনই কোন রিকোয়েষ্ট উক্ত আই.পিতে সেন্ড করছে সাথে সাথেই সে একটা টেক্সট (Hypertext) রিপ্লাইতে পাঠাচ্ছে।
ব্রাউজার (Tx) => 151.101.1.2 (Rx)
ব্রাউজার (Rx) <= 151.101.1.2 (Tx)
দুজনের মধ্যে টিসিপি যে সেন্ড/রিসিভ হচ্ছে এটাকে ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্কিং বলে।
সার্ভার কখনোই ক্লায়েন্টকে কল করতে পারে না অর্থ্যাৎ আগেভাগেই Tx বা সেন্ড বাইট করতে পারে না। ক্লায়েন্ট প্রথমে শুরু করে সার্ভার (হোষ্ট) শুধু উত্তর দেয়। সার্ভার সকল ক্লায়েন্টের জন্যই উন্মুক্ত, কিন্তু সকল ক্লায়েন্টই প্রাইভেট।
ABBAS