যে প্রক্রিয়ায় শরীরের কোনো স্থান ঘষে আরাম পাওয়া যায় তাক বলে Itching বা Pruritus বা চুলকানি। এটি এক ধরনের রিফ্লেক্স ক্রিয়া। চুলকানির প্রধান কারণ হলো মানুষের ত্বকে উপস্থিত Pruiroceptor নামক স্নায়ু। ত্বকের বাইরের এপিডার্মিস স্তরে কোনো জীবাণুর সংক্রমণ হলে ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হয়ে উঠে এবং কোষ থেকে হিস্টামিন নিঃসরণ করে যার জন্য চুলকায়। আবার, সেরেটোনিন, নোরেপিনেফ্রিন নিঃসরণ হলে চুলকানি ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
মানুষ চুলকানি অনুভব করে মস্তিষ্কের সোম্যাটোসেন্সরি কর্টেক্স দিয়ে। চুলকালে আরাম লাগে মূলত মানুষের মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এর জন্য। ত্বকের কোনো স্থান চুলকালে সেখানে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং এই ব্যথাই চুলকানি প্রশমিত করে। তাছাড়া ব্যথার ফলে নিঃসরণ হয় ডোপামিন ও সেরোটোনিন যা মানুষের মাঝে ভালো লাগার সৃষ্টি করে। তবে অতিরিক্ত চুলকানোর ফলে ত্বকে উপস্থিত জীবাণু গুলোর সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়, ত্বকের টিস্যুর ক্ষতি হয়।
অনেকে আছেন যারা শরীরের কোনো স্থান চুলকে রীতিমতো ঘা সৃষ্টি করেন বা রক্ত বের করে ফেলেন। তাদের মনে হয় কিছু না কিছু (পিঁপড়া, মশা, অন্যান্য পোকা) তাদেরকে প্রতিনিয়ত কামড়ে যাচ্ছে বা কোনো কারণ ছাড়াই শরীর চুলকায়। এটি ডিলিউসরি প্যারাসাইটোসিস নামক মনস্তাত্ত্বিক রোগের মাঝে পড়ে। এই সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
© নিশাত তাসনিম | সায়েন্স বী