চাঁদ ছোট বড় দেখা যায় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+6 টি ভোট
3,441 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (71,300 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (71,300 পয়েন্ট)

চাঁদের প্রথম তারিখে মানে আরবি মাসের প্রথম তারিখে চাঁদ খুব ছোট দেখায়। প্রতিদিন সেটা একটু একটু করে বড় হতে থাকে। ১৪ তারিখের পর সেটা আবার ছোট হতে থাকে। এতে মাথায় যে ক’টি প্রশ্ন আসতে পারে তাহলো, চাঁদ কি প্রত্যেক দিন একটা করে উদিত হয়? ৩০ দিনে ৩০টা চাঁদ দেখা যায়? বা ১২ মাসে ১২টা চাঁদ দেখা যায়? নাকি সব মিলে একটাই চাঁদ? এর উত্তর হচ্ছে চাঁদ একটাই। তাহলে বড় ছোট কেন হয়? হ্যাঁ, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে লেখাটা খুব মন দিয়ে পড়তে হবে।
আমরা তো জানিই যে পৃথিবী একটি গ্রহ। এটি সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এবং শূন্যের ওপর ভাসছে। চাঁদ হলো আমাদের পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। আমাদের পৃথিবী যেভাবে সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ঘুরছে ঠিক সেভাবে চাঁদ ঘুরছে পৃথিবীর চারদিকে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে। চাঁদ আর পৃথিবীর নিজস্ব আলো নেই। সূর্যের আলো দ্বারা এরা আলোকিত হয়। পৃথিবীর মতো চাঁদেরও সমান অর্ধেকের ওপর সূর্যের আলো সব সময় থাকে। তবে আমরা আলোকিত অংশের পুরোটা সব সময় দেখতে পাই না। আমরা চাঁদকে তখনই দেখতে পাই যখন চাঁদের আলোকিত অংশটা বা এর কিছুটা আমাদের দিকে থাকে। আর যখন চাঁদের আলোকিত অংশটা আমাদের বিপরীত দিকে বা উপরের দিকে থাকে তখন আকাশে চাঁদ থাকলেও আমরা তাকে দেখতে পাই না। কখনো চাঁদের আলোকিত অংশের পুরোটা আবার কখনো আংশিক দেখতে পাই। যখন চাঁদের আলোকিত অংশ পুরোটাই দেখি তখন চাঁদকে বড় দেখায়। এটাকে পূর্ণিমা বলে। আর যখন চাঁদের আলোকিত অংশের কিছুটা দেখি তখন চাঁদকে ছোট দেখি। যখন আলোকিত অংশের কিছুটাও আমরা দেখি না তখন চাঁদ দেখা যায় না। এটাকে অমাবস্যা বলে।
আমরা চাঁদের আলোকিত অংশের পুরোটা সব সময় দেখি না কেন? চাঁদের ১ তারিখ দিয়েই শুরু করা যাক। ১ তারিখে চাঁদ সন্ধ্যার সময় পশ্চিম আকাশে থাকে। তখন চাঁদকে খুব ছোট দেখা যায়। সন্ধ্যার সময় বলতে একটু আগেই সূর্য অস্ত গেছে। সূর্য যেহেতু চাঁদের চেয়েও অনেক দূরে তাহলে বুঝা যে এই মুহূর্তে চাঁদকে যেখানে দেখা যাচ্ছে তার চেয়েও অনেক দূরে সূর্য আছে। তাহলে সূর্যের আলোটা চাঁদের যে অংশে পড়েছে সেটা প্রায় পুরোটাই অন্য পৃষ্ঠায় রয়ে গেছে, মানে আমরা যে দিকটা দেখছি না সে দিকটায়। তারপরও যেহেতু সূর্য ডুবে কিছুটা নিচে নেমে গেছে তাই চাঁদে সূর্যের আলো কিছুটা নিচের দিক থেকেই পড়েছে এবং সেই কারণেই আমরা চাঁদের সেই আলোকিত অংশের কিছুটা দেখতে পাচ্ছি। এবং সেটাকে ছোট চাঁদ বলছি। এখনো কিন্তু চাঁদের সমান অর্ধেকের উপরে আলো পড়েছে। তবে সেই আলোকিত অংশটা চাঁদের অপর দিকে বেশির ভাগ রয়ে গেছে বলেই আমরা আলোকিত পুরো অংশটা দেখছি না। শুধু কিছুটা দেখছি।
তারপর চাঁদের ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ এভাবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত চাঁদটা বড় হতে থাকে। বড় হতে থাকে মানে বড় দেখা যেতে থাকে। এবং প্রথম দিন যে সময় পশ্চিম আকাশের যে স্থানে চাঁদ ছিল একই সময়ে সেই স্থানে চাঁদ থাকে না। একটু একটু করে আমাদের মাথার উপরের দিকে চাঁদ আসতে থাকে। চাঁদের যখন ৭, ৮ তারিখ হয় তখন সন্ধ্যার সময় চাঁদ থাকে ঠিক আমাদের মাথার উপরে। তখন সূর্য একটু আগে ডুবেছে। আমাদের মাথার অনেক উপর দিয়ে সূর্যের আলোটা চাঁদের গায়ে পড়ছে। সেই আলোটা আমরা প্রথম তারিখের তুলনায় আরও একটু বেশি দেখতে পাচ্ছি। তখন চাঁদের প্রায় অর্ধেকটা দেখছি। কারণ চাঁদ যেহেতু আমাদের মাথার উপর এসে গেছে এবং সূর্য একটু আগে পশ্চিম দিকে গেছে। তাই ১ তারিখের মতো এখন আর চাঁদ খুব পশ্চিমে অবস্থান না করার কারণে আমাদের মাথার উপর চলে আসায় আগের তুলনায় চাঁদের গায়ে সূর্যের আলো আরও বেশি অংশে দেখতে পাচ্ছি।
আবার চাঁদের যখন ১৪ তারিখ হয় তখন চাঁদ সন্ধ্যার সময় পূর্ব আকাশে পুরোটাই দেখা যায়। পুরোটা মানে আলোকিত অংশের পুরোটাই আমরা দেখি। তখনও অবশ্য চাঁদের অন্য পৃষ্ঠায় অন্ধকার আছে সেটা দেখার দরকার নেই। ১৪ তারিখে চাঁদের আলোকিত অংশের পুরোটা আমরা দেখতে পাচ্ছি কেন? কারণ এই মুহূর্তে চাঁদ আছে পূর্ব আকাশে আর সূর্য পশ্চিম আকাশে একটু আগে ডুবেছে। ডুবলেও সূর্যের আলো পৃথিবীর পাশ দিয়ে গিয়ে চাঁদের গায়ে পড়ছে। পশ্চিমে সূর্য আর পূর্বে চাঁদ, মাঝখানে আমরা। তাই চাঁদের আলোকিত অংশের পুরোটাই আমরা দেখছি। আমরা মাঝখানে আছি মানে একেবারে সমান্তরাল রেখা বরাবর নেই। একটু এদিক ওদিকে আছি। চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবী যখন সমান্তরাল রেখা বরাবর আসবে তখন চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয়ে যাবে।
এতক্ষণ আমরা চাঁদের বড় হওয়াটা জানলাম। এবার ছোট হওয়াটা একটু দেখা যাক। চাঁদের ১৫ তারিখ থেকে ১৬,১৭,১৮, এভাবে শেষের দিকে যত যায়, তত চাঁদ আবার ছোট হতে থাকে। এর কারণ আবার সূর্যের আলো আস্তে আস্তে চাঁদের অপর পৃষ্ঠার দিকে চলে যাচ্ছে যেটা আমরা দেখতে পাই না। যেমন চাঁদ প্রতিদিন প্রায় এক ঘণ্টার মত দেরিতে ওঠে। দেরি হতে হতে যে চাঁদকে আমরা সন্ধ্যার সময় পশ্চিম আকাশে দেখেছিলাম ১ তারিখে, সেই চাঁদকে ১৪ তারিখে একই সময়ে দেখা গেল পূর্ব আকাশে। ১৫ তারিখ থেকে আরও দেরি হচ্ছে। দেরি হওয়ার কারণে সূর্য কিন্তু অস্ত গিয়ে নিচের দিকে ততক্ষণে অনেক দূর চলে গেছে। চলে যাবার কারণে এবার সূর্যের অনেকটা আলো চাঁদের পেছনের দিকে পড়ছে, মানে আমরা যে দিকে দেখতে পাচ্ছি না সেদিকটায়। এক সময় সূর্য চাঁদের পেছনে চলে যাবে। তখন সূর্যের আলো পুরোটাই পড়বে চাঁদের অন্য পৃষ্ঠায়। যেটা আমরা দেখি না। তখন অমাবস্যা হবে। মানে চাঁদ মোটেও দেখা যাবে না। কেন দেখা যাবে না? কারণ সূর্য চাঁদের একেবারে পেছনে চলে গেছে। সেদিকটায় আলো দিচ্ছে। আমরা তো আর কোনও জিনিসের অপর পৃষ্ঠা দেখি না।
Goutom Das

+1 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)
চাঁদের উপর পড়া আলোর উপর নির্ভর করে চাঁদ কতটুকু দেখাবে
করেছেন (100 পয়েন্ট)
subhanllah
0 টি ভোট
করেছেন (9,610 পয়েন্ট)

চাঁদ কেন ছোট -বড়  দেখায়----

 

চাঁদ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। চাঁদ গোলাকার হওয়ার কারণে একই সময়ে চাঁদের অর্ধেক আলোকিত থাকে।  ​​​​​​আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের এই আলোকিত অংশের বিভিন্ন পরিমাণ অংশ ভিন্ন ভিন্ন সময় দেখতে পাই।

তাই, চাঁদকে কখনো বড়, আবার কখনো ছোট দেখায়।

 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 1,033 বার দেখা হয়েছে
27 ডিসেম্বর 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rishad Ud Doula (5,760 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,002 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
6 টি উত্তর 3,589 বার দেখা হয়েছে
15 এপ্রিল 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Linza Reza (2,670 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,005 বার দেখা হয়েছে
+12 টি ভোট
1 উত্তর 906 বার দেখা হয়েছে
07 ডিসেম্বর 2019 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,300 পয়েন্ট)

10,844 টি প্রশ্ন

18,544 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

845,699 জন সদস্য

17 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 17 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. daga88unite

    100 পয়েন্ট

  3. go88com12

    100 পয়েন্ট

  4. ishtisamzgift

    100 পয়েন্ট

  5. topbetcam

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...