স্রডিঞ্জারের বেড়াল তত্ত্ব
এই তত্ত্বটি জম্বি-ক্যাট থিউরি নামেও পরিচিত।
কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মতে, ইলেকট্রন একই সময়ে ক্লক-ওয়াইজ ও এন্টি-ক্লকওয়াইজ ঘুরতে পারে। অর্থাৎ একটা মার্বেল, ক্রিকেট বল, ফুটবল থেকে শুরু করে গ্রহ-নক্ষত্রগুলোও ঘোরার সময় নির্দিষ্ট এক দিক অনুসরণ করলেও সাধারণত ইলেকট্রন তা করে না। এটি একই সময়ে দুই দিকেই স্পিন করতে পারে।
এখন মনে করুন, একটি বদ্ধ রুমে একটি ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রন রাখা আছে। ইলেকট্রনটি স্পিন ডিটেক্টর একটি যন্ত্রের সাথে যুক্ত করা, যার শেষ প্রান্তে একটি হাতুড়ি যুক্ত আছে, যে হাতুড়ির সামনে রাখা বিষাক্ত গ্যাসভর্তি একটি কাচের টেস্টটিউব। ইলেকট্রনটি যদি ক্লক-ওয়াইজ স্পিন করে, তাহলে ডিটেক্টর যন্ত্রটি তা ডিটেক্ট করতে পারবে এবং হাতুড়ির আঘাতে টেস্টটিউবটি ভেঙে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়বে ও বিড়ালটি মারা যাবে। ইলেকট্রনটি এন্টি-ক্লকওয়াইজ ঘুরলে ডিটেক্টরে কোনো সংকেত পৌঁছাবে না, সুতরাং হাতুড়ি নড়বে না, টেস্টটউবটি অক্ষত থাকবে, ফলে বিড়ালটিও বেঁচে থাকবে। এখন, এক্ষেত্রে ঠিক কোন ঘটনাটি ঘটবে?
উত্তরটি একইসাথে খুবই সহজ এবং গোলমেলে। যদি ইলেকট্রনটি ক্লক-ওয়াইজ ঘুরে থাকে, তার মানে রুমটিতে একটি মৃত বিড়াল পড়ে আছে। যদি এর উল্টোটা হয়, অর্থাৎ ইলেকট্রনটি এন্টি ক্লক-ওয়াইজ ঘুরে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে রুমটিতে একটি জীবিত বিড়াল আছে। কিন্তু আমরা যেহেতু বলেছি ইলেকট্রনটি একই সময়ে দুই দিকেই ঘুরছে, সুতরাং তত্ত্বমতে ঐ রুমে এখন এমন একটি বিড়াল রয়েছে যা একই সঙ্গে জীবিত ও মৃত! অর্থাৎ পরীক্ষণের ফলাফল অনুসারে ওই রুমটিতে এমন একটি বিড়াল রয়েছে, যা জীবিত না আবার মৃতও না! এ ধরনের সম্ভাবনার কারণে একে জম্বি-ক্যাট বলা হয়!