প্রথমে আসি পানির বর্ণহীন হবার কারণে-
-সাদা আলো তৈরি হয় সাতটি আলোর সংমিশ্রণে।
সূর্যের সাত রঙের আলো সাদা রং হয়ে সবকিছুর উপরে প্রতিফলিত হয়।এই আলো যখন কোনো বস্তুর উপরে পড়ে, তখন বস্তুটি অনেকগুলো রং শোষণ করে নেয়। যে রংটুকু শোষণ করে না, সেটুকু প্রতিফলিত হয় বস্তুর গায়ে।
ফলে প্রতিফলিত রংটাই হয় ওঠে ওই বস্তুর রং।
পানির ক্ষেত্রেও এমনটা হয়। কিন্তু পানির উপরে যে আলো পড়ে, তার প্রায় সবটুকু রংই পানি শোষণ করে নেয়, কোনো রং প্রতিফলিত হয় না। তাই পানিকে দেখায় বর্ণহীন অর্থাৎ স্বচ্ছ।
তাহলে পানি বর্ণহীন হওয়া স্বত্তেও কেন আমরা সমুদ্রের পানিকে নীল দেখি?
-অনেকেই বলে থাকি আকাশের রং নীল বলে সেই আলোর প্রতিফলনে সমুদ্রের রং নীল দেখে থাকি। আসলে তা নয়। সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মির মূলত সাতটি রংয়ের আলোর সমাহার। এই আলোকরশ্মি যখন সাগরের পানিতে এসে প্রতিফলিত হয় তখন লাল,কমলা,হলুদ এইসব দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো পানির মধ্যে দৃঢ়ভাবে শোষিত হয়ে যায়। ফলস্বরূপ ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের "নীল আলো" তেমনটা শোষিত হতে না পারায় তা নীল রং হিসেবে আমাদের চোখে প্রতিফলিত হয়। এই কারণে আমরা সাগরের পানি নীল রঙের দেখতে পাই।
তাছাড়া সাগরের পানিতে যদি অধিক পরিমাণে ময়লা,কাদা,শ্যাওলা বা দূষক পদার্থের উপস্থিতি থাকে তবে ঐ পানিতে এই নীল আলো বিকিরণের ব্যাপারটা ঘটতে পারেনা। কেননা পরিষ্কার পানিতে নীল আলো সহজেই বিকিরণ ঘটাতে পারে। কাদা,ময়লা এগুলো সবধরনের আলোকেই বিকিরণে বাঁধা দেয়। ফলে সাগরের পানি তখন বিভিন্ন রং কালচে,সবুজ, হালকা হলুদাভ, ঈষৎ লাল সহ আরো অনেক রং ধারণ করে।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া