সংক্রমণের দিক থেকে বর্তমান মহামারীর মতো শক্তিশালী ও মৃত্যুর দিক থেকে ইবোলার মতো। পরবর্তী প্যানডেমিকের কারণ হতে পারে ডিজিজ এক্স (Disease X)। এমনই বলছেন চিকিৎসকরা।
প্রতি বছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO-র তরফে প্যাথোজেন ও পরবর্তী প্যানডেমিকের সঙ্গে তার যোগসূত্রের উপর একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়। যাতে প্যাথোজেনের তথ্য ও আগামী দিনে মানবসভ্যতার জন্য কোনটা ক্ষতিকারক হতে চলেছে, তা জানানো হয়। এর আগে ইবোলা, জিকা এর ক্ষেত্রেও এই সমীক্ষা আগাম সতর্কতা জানিয়েছিল। এ বার সেই তথ্যই বলছে, ডিজিজ এক্স-এর কথা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ডিজিজ এক্স ও মানবশরীরে তার প্রভাব নিয়ে এখনও সে ভাবে সঠিক কিছু না জানা গেলেও এই ভাইরাস যথেষ্ট ভাবাচ্ছে গবেষকদের। কারণ এটি অত্যন্ত শক্তিশালী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এর জন্য পরবর্তী প্যানডেমিক ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
ডেইলি মেল-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এই আশঙ্কা একেবারে এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। তার কারণ- যে চিকিৎসক এই ডিজিজ এক্স-এর কথা বলছেন, তিনি এর আগে ইবোলা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এই নতুন মারণ ভাইরাস করোনার থেকেও বেশি সংক্রামক হতে পারে।
অধ্যাপক জিন-জ্যাকুয়েজ মুয়েম্ব তামফুম, যিনি ইবোলা আসার প্রায় চার দশক আগে ১৯৭৬ সালে ইবোলা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, এই নতুন ভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ শুরু করবে এবং পরিস্থিতি বর্তমান মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তবে, তিনি এটাও জানান, এই পুরোটাই এখন আশঙ্কার পর্যায়ে রয়েছে। এ দিকে, জানা যাচ্ছে, আফ্রিকার বেশ কিছু জায়গায় নতুন নতুন ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
ডেইলি মেল-এ প্রকাশিত রিপোর্টটি জানাচ্ছে, কঙ্গোর ইনজেনড নামের একটি জায়গায় এক রোগীর হিমোরেজিিক ফিভার (Haemorrhagic Fever) দেখা গিয়েছিল কিছু দিন আগে। তাকে ইবোলার টেস্ট করা হয়। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছিলেন তার ডিজিজ এক্স হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। যদিও তার রিপোর্ট দুই ক্ষেত্রেই নেগেটিভ আসে। কিন্তু এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে শুরু করেন চিকিৎসকরা।
অধ্যাপক জিন-জ্যাকুয়েজ এও আশঙ্কা করছেন, এই ভাইরাস জুনটিক ভাইরাসও হতে পারে। যা পশুদের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
©বাংলা নিউজ ১৮